আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাত পর্যন্ত চলে সেই বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং অর্থদপ্তরের আধিকারিকরা। বৈঠকে অধ্যাপকরা স্টেট এইডেড কলেজ অধ্যাপকদের মতো তাঁদেরও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার দাবিতে অনড় থাকেন। এদিকে, তাঁদের দাবি যথেষ্ট ন্যায্য বলে মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। এরপরই দাবিগুলি নিয়ে লিখিত প্রস্তাব তৈরি করা হয়। সেই প্রস্তাব দু-একদিনের মধ্যেই উচ্চ শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অতিথি অধ্যাপকরা সিদ্ধান্ত নেন, যতক্ষণ না দাবি পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। কিন্তু কাজ বন্ধ রাখবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন মেনে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে কাজে ফিরবেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও দু’বার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে তৃতীয় বৈঠকের পর জট কাটার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, আমরা অতিথি অধ্যাপকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাঁদের সমস্ত দাবি প্রস্তাব আকারে উচ্চ শিক্ষাদপ্তরের কাছে পাঠানো হবে। পাশাপাশি তাঁদের অবস্থান আন্দোলন তুলে নিয়ে কাজে ফেরার জন্য আবেদন করা হয়েছে। অতিথি অধ্যাপকের তরফে রাজীব আলি মিনহাজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের দাবিগুলো প্রস্তাব আকারে উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। আমরা তাদের আবেদন মেনে কাজে ফিরব। ৫ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা রয়েছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভেবে আমরা কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে কাজ করলেও আন্দোলন এখনই উঠবে না।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার সমস্ত পার্শ্ব শিক্ষক ও অতিথি অধ্যাপকের জন্য একাধিক বন্দোবস্ত করার কথা বলেছে। কিন্তু আন্দোলনরত অধ্যাপকদের দাবি, তাঁরা সেই ধরনের কোনও সুযোগ-সুবিধা পাননি। দ্রুত সেসব দেওয়ার দাবিতে গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থান আন্দোলন শুরু করেছেন অতিথি অধ্যাপকরা। আন্দোলন চালাতে গিয়ে একাধিক অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ইতিমধ্যে অসুস্থও হয়ে পড়েন।