বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
পুরাতন মালদহের বাসিন্দা পূর্ণিমা ও অনিমা মণ্ডল বলেন, পুজোর জোগাড় ও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মাক্স আনতে একদম ভুলে গিয়েছি। আস্তে আস্তে তো সব দোকানপাট বাস ট্রেন খুলে যাচ্ছে, তাই সবাই মিলে এভাবেই মা ষষ্ঠীর আরাধনা করলাম। করোনা থেকে মা সকলকে মুক্তি দিক, এটাই চাইব।
বঙ্গীয় পুরোহিত সভার মালদহ জেলা শাখার সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, এই পরিস্থিতিতে পুজো আগের বছরগুলির তুলনায় অনেক কম হয়েছে। রীতি বজায় রাখতে গিয়ে মানুষ আবেগের টানে কিছু জায়গায় হয়ত সামাজিক দূরত্ব পালনের বিধিভঙ্গ করেছেন। তবে পুরোহিতরা মাস্ক পরেই পুজো করেছেন। মন্ত্র উচ্চারণের সময় শুধু মুখ থেকে স্বল্প সময়ের জন্য মাস্ক খোলা হয়েছে। আগত ভক্তদেরও ফাঁকা ফাঁকা করে বসতে বা দাঁড়াতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, বালুরঘাটের মন্দিরগুলিতে কিন্তু এদিন খুব একটা ভিড় চোখে পড়েনি। প্রতিবছর জামাই ষষ্ঠীর দিন সকালে বিভিন্ন মন্দিরে জমায়েত হয়ে পুজো করতে অনেক মহিলাকে দেখা যেত। কিন্তু এবার সেভাবে ভিড় চোখে পড়ল না। অধিকাংশই বাড়িতে পুজো দিয়েছেন। মন্দিরে ভিড় না হলেও সকালের দিকে বালুরঘাট শহরে বাজার করতে মানুষের ভালোই ভিড় দেখা যায়। মিষ্টি, মাংস, ফলমূলের দোকান সহ জামাকাপড়ের দোকানগুলিতেও ভিড় ছিল।
বালুরঘাটের বাসিন্দা বাপন দাস ও শম্পা দাস বলেন, লকডাউনের জেরে এবার ষষ্ঠী করতে যেতে পারলাম না। করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, সেই দিক লক্ষ রেখে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সবকিছু ঠিক হলে পরের বছর যাব। আবার আরও এক বাসিন্দা পল্লব দত্ত বলেন, আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি কাছেই। তাই জামাই আসতে পেরেছে। বাড়িতেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।