বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একটি অটো আরএনএ এক্সট্র্যাক্টর ও আরও একটি আরটি পিসিআর মেশিন বসানো হবে। পাশাপাশি কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে আরটি পিসিআর মেশিন বসানোর উদ্যোগও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে ট্রু ন্যাট মেশিন বসানো হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী একমাসের মধ্যে প্রতিদিন উত্তরবঙ্গে ১০ হাজার সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে, এমনটাই আশা করছেন উত্তরবঙ্গের করোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়। অন্যদিকে, এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে কর্মীদের সংবর্ধনা দেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
সুশান্তবাবু বলেন, সমগ্র উত্তরবঙ্গে গড়ে ২৫০০ নমুনা পরীক্ষা করার মতো পরিস্থিতি রয়েছে। আমরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অটো আরএন এক্সট্রাক্টর মেশিন বসাচ্ছি। এতে কাজ অনেক দ্রুত হবে। এছাড়াও অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আরটি পিসিআর মেশিন ও ট্রু ন্যাট মেশিন বসানো হচ্ছে। ওসব মেশিনগুলি এলে আশা করছি, একমাসের মধ্যে উত্তরবঙ্গে প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পরেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নমুনা সংগ্রহের কাজ পর্যায়ক্রমে শুরু হয়ে যায়। জেলাগুলির সংগ্রহ করা নমুনার একাংশ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এবং একাংশ মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়। হঠাৎ করে করোনা মাথাচাড়া দেওয়ায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অটো আরএনএ এক্সট্রাক্টর মেশিনের মাধ্যমে স্বল্প সময়েই মধ্যে নমুনা থেকে আরএনএ’কে আলাদা করে তা পরীক্ষা করা যাবে। শুরুর দিকে এই সংখ্যাটা ১৫০০ হলেও ধীরে ধীরে সেটি বেড়ে ৩০০০-৩৫০০ পর্যন্ত হতে পারে বলে ওএসডির দাবি। ওই আরএনএ এবং আরটি পিসিআর মেশিনে আসছে। এতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে। কোচবিহারে ট্রু ন্যাট মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে আরটি পিসিআর মেশিন বসানোর প্রক্রিয়াও চলছে। জলপাইগুড়িতে ট্রু ন্যাট মেশিনে নমুনা পরীক্ষার কাজ চলছে। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটায় ট্রু ন্যাট মেশিন বসেছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে একটি আরটি পিসিআর মেশিন রয়েছে। সেখানে আরও একটি মেশিন বসানোর কথা রয়েছে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে আরটি পিসিআর মেশিন বসানো হবে। দুই দিনাজপুরেও ট্রু ন্যাট মেশিনে নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এসব জায়গা নমুনা পরীক্ষার কাজ পুরো মাত্রায় চালু হলে আগামী একমাসের মধ্যে উত্তরবঙ্গে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।