বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী বালুরঘাটকে গ্রাম ও পুরসভায় ভাগ করেছে আত্রেয়ী নদী। সেই অনুযায়ী শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন। চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েত ও বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় আটটি গ্রামের মানুষ কালিকাপুরের বাঁশের সাঁকো পেরিয়েই রঘুনাথপুর হয়ে শহরে প্রবেশ করেন। বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করলে ছয়-সাত কিলোমিটার ঘুরে শহরে প্রবেশ করা যায়। কালিকাপুরের ওই নদীঘাট দিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর ধরে মানুষ যাতায়াত করে আসছেন। বিশেষ করে সকালবেলা হলেই গ্রাম থেকে সব্জি নিয়ে বহু কৃষক শহরে আসেন ওই সাঁকো দিয়েই। এছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ রোজ পারাপার করেন। বর্ষা আসলেই গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ শুরু হয়ে যায়। বুধবার রাতে ফের বাঁশের সাঁকো ভেঙে গেলে আবার দুর্ভোগ শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে বাঁশের সাঁকোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা কুশলবন্ধু ঘোষ বলেন, হঠাৎ বাঁশের সাঁকোর অর্ধেক ভেসে চলে গিয়েছে। সরকার এখানে আলোর ব্যবস্থাও করে দেয় না। যার ফলে রাতে খুব ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে মানুষ। কবে যে সেতু হবে, কে জানে। এই বিষয়ে কেউ নজর দেয় না।
এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ শিকদার বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত সরকারিভাবে অবৈধ। তাই ওই নদীঘাটের দায়িত্ব আমাদের নেই। মানুষ নিজেদের সুবিধার্থেই বাঁশের সাঁকো বানিয়েছে। নতুন সেতু তৈরির ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা নেই। তবে যদি প্রয়োজন হয়, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে বন্যা রুখতে মাটি উঁচু করার ব্যবস্থা করব।
এবিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু বলেন, ভোটের আগে শুনেছিলাম সেখানে সেতুর জন্য মাপজোক করা হয়েছে। কিন্তু সত্যি কি মিথ্যা জানি না। ওই বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে, সেটাও জানি না।
জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য শিপ্রা নিয়োগী বলেন, ওই জায়গায় সেতু বানানো নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই একটা দাবি আছে। এব্যাপারে আমি সভাধিপতির সঙ্গে কথা বলব।
কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার সরকার ও প্রেমলাল সূত্রধর বলেন, ঘুরপথে শহরে প্রবেশ করতে আমাদের সমস্যা হয়। তাই বর্ষা এলেই প্রতিবছরই আমরা এভাবেই দুর্ভোগ পোহাই। এবার তো আগেভাগেই সমস্যা শুরু হয়ে গেল। পেশায় শিক্ষক গোপাল চৌধুরী বলেন, সারাবছর বাঁশের সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসীদের চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। নদী পার হলেই হাসপাতাল। কিন্তু রাতে কেউ অসুস্থ হলে রোগী নিয়ে যাওয়া যায় না। অনেকেই শহরের স্কুল-কলেজে পড়ে। তাদের খুব সমস্যা হয়।