বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
দিন কয়েক আগেই পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখানে প্রশাসক হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূষণ সিংকে বসানো হয়েছে। প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রয়েছেন গত পুরবোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন আমিনা আহমেদ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রশাসক ও বোর্ড সদস্য বাদে বাকি কাউন্সিলারদের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োগ করে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে পুরসভা। তবে তাঁরা কি কি কাজ করতে পারবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশিকার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে জানতে চেয়ে পুর দপ্তরে ইমেইল পাঠানো হয়েছে।
ভূষণবাবু বলেন, আমরা প্রথমে শহরের সমস্ত নিকাশি নালা পরিষ্কার করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে সাফাইয়ের কাজ শুরু হচ্ছে। রাজ্যের নির্দেশ মতো এদিন কাউন্সিলারদের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে রাখার চিঠি দিয়েছি। তাঁরা এতদিন যেভাবে ওয়ার্ডের তদারকি করতেন সেভাবেই করবেন। রাজ্য থেকে আমাদের পাঠানো চিঠির উত্তর আসলেই তাঁদের কাজের এক্তিয়ারের ব্যাপারে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রতিবছরই বর্ষার সময়ে কোচবিহারে নিকাশি নালা দিয়ে জল যাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই শহরে জল বদ্ধতার সমস্যা হয়। পাশাপাশি শহরে জঞ্জাল জমে থাকা, নিকাশি নালা অপরিষ্কার থাকার কারণে মশার উপদ্রবে একেসময়ে শহরে টেকা দায় হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে শহরে ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। একদিকে করোনার কারণে মানুষ প্রবল সমস্যায় রয়েছে। তারউপরে যদি ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় তাহলে গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো পরিস্থিতি দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা অধিক সাফাই কর্মীকে কাজে লাগিয়ে একেকটি ওয়ার্ড ধরে সাফাইয়ের কাজে আজ থেকে নামছে।
এদিকে, সাধারণ সময়ে নির্বাচিত কাউন্সিলারদের কাজ করার একটি এক্তিয়ার থাকে। কাউন্সিলাররা সেই হিসেবে তাঁদের কাজ চালিয়ে যান। কিন্তু পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে যাওয়ার পর পুরসভায় প্রশাসক বসলে কাউন্সিলারদের আর সেই ক্ষমতা থাকে না। এই পরিস্থিতিতে ওয়ার্ডগুলিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ কীভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। ওয়ার্ডগুলির সঙ্গে পুরসভার সমন্বয় বজায় রাখা, এলাকার সমস্যা সর্ম্পকে পুরসভাকে ওয়াকিবহাল করা সহ একাধিক কাজ কীভাবে হবে তা নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা এ বিষয়ে জানতে চেয়ে পুর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে।