কর্মে সংস্থাগত পরিবর্তন বা কর্মসূত্রে বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। কলাশাস্ত্রের চর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
মঙ্গলবারই অস্ট্রিয়াতে পৌঁছন মোদি। তাঁর আগে ১৯৮৩ সালে অস্ট্রিয়া গিয়েছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। চার দশক পরে ইউরোপের এই দেশ সফরে এলেন ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ঐতিহাসিক ‘ভিয়েনা কংগ্রেস’ প্রসঙ্গ তুলে মোদি জানান, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের পক্ষপাতী ভারত। এ বিষয়ে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেনের পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে। সবার আগে মাথায় রাখতে হবে এখন যুদ্ধের সময় নয়। যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও সমস্যর সমাধান হয় না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক না কেন নিরীহদের প্রাণহানি প্রত্যাশিত নয়। প্রায় একই সুর নেহামারের গলায়ও। তিনি জানান, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানে উভয় দেশের প্রায় ১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। ইউক্রেনে রুশ সামরিক আক্রমণ নিয়ে পশ্চিমী দেশগুলিতে পুতিন-বিরোধিতা তুঙ্গে। এরইমধ্যে মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে আমেরিকার গলায় রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছিল। বাইডেন প্রশাসন বলেছিল, মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় মোদির ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রসঙ্গ তোলা উচিত। মোদির রুশ সফর ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের অবস্থান ঠিক কী? সারা বিশ্বই এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় ছিল। সেখানে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের অবস্থান সাফ জানিয়ে মোদি বলেছিলেন, যুদ্ধ নয়, আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে। রণক্ষেত্রে কোনও বিবাদের নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। এরইমধ্যে রাতারাতি ভোল বদলাল আমেরিকা। পেন্টাগনের প্রেস সচিব মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেছেন, ভারত আমেরিকার কৌশলগত অংশীদার। ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার পাশেই ভারত থাকবে বলেও আস্থা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।