কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
২৩ ডিসেম্বর ভোরে উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে নিষিদ্ধ সংগঠন খালিস্তান কম্যান্ডো ফোর্সের তিন সদস্যের সঙ্গে পুলিসের এনকাউন্টার হয়। চলতি মাসের গোড়ায় গুরুদাসপুর জেলার কালানৌরের বক্সিওয়ালা থানায় গ্রেনেড হামলা চালায় ওই জঙ্গিরা। গুরুদাসপুরে একটি পুলিস চেকপোস্টেও হামলার ঘটনাতেও অভিযুক্ত ছিল এই তিনজন। এনকাউন্টারের পর থেকেই মূল মাথার খোঁজ করছিল তদন্তকারী সংস্থাগুলি। আর তাতেই উঠে আসে কুলবীর সিং সিধুর নাম। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে এক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাকে খুনে নাম জড়ায় তার। এরপর গ্রিস হয়ে লন্ডনে পালিয়ে যায় সে। এনআইএ জানিয়েছে, লন্ডন থেকেই খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স সহ বিভিন্ন খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করে আসছে সিধু। টাকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি ও জঙ্গিদের থাকার ব্যবস্থাও সে করে দেয়।
ওই তিন জঙ্গির জন্যও ভুয়ো আধার কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সিধু। যশপাল ওরফে সানি নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনজনকে পিলভিটের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সেখানে ভুয়ো পরিচয়েই ঘর ভাড়া নেয় তিন জঙ্গি। সূত্রের খবর, গুরুদাসপুরে হামলার পর পিলভিট হয়ে বিহারে চলে যেত তিন জঙ্গি। সেখান থেকে সম্ভবত সীমান্ত পেরিয়ে নেপালে পালিয়ে যেত তারা। সানিকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। সিধুর নির্দেশমতো কাজ করার কথা স্বীকার করেছে সে। আপাতত সিধুর সঙ্গে ভারতে আর কার যোগ রয়েছে এবং খালিস্তানি জঙ্গিরা ভবিষ্যতে বড় কোনও হামলার পরিকল্পনা করছে কি না, তারই সন্ধান করছেন তদন্তকারীরা।