চণ্ডীগড়: ২০১৯ সাল। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দলই। ম্যাজিক ফিগারের থেকে পাঁচ আসন কম পায় বিজেপি। আরও পিছিয়ে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে মাত্র ১০ জন বিধায়ক নিয়ে কিং মেকার হয়ে ওঠেন জেজেপি নেতা দুষ্যন্ত চৌতালা। প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী দেবী লালের নাতি এবারও রয়েছেন ভোট ময়দানে। তবে আর কিং মেকার হতে রাজি নন তিনি। এবারে তাঁর নজর কিংয়ের আসনে। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে মনোহরলাল খট্টরকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে দেন চৌতালা। তারপর থেকেই পৃথক রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরিতে তৎপর হয়ে ওঠেন তিনি। এবার জোট গড়েছেন আজাদ সমাজ পার্টির সঙ্গে। দুঁদে রাজনীতিবিদের ‘বিশ্বাস’, ‘এবারেও কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সেক্ষেত্রে যে কেউ নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে। আমাদের জোট সিংহভাগ আসন জিতবে। এবং সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।’ তাহলে কি এবারও কোনও দলকে সমর্থনের পথেই হাঁটবেন চৌতালা? তাঁর সাফ জবাব, ‘আমরা কেন কাউকে সমর্থন করব? অন্য কেউ কেন আমাদের সমর্থন করবে না? আমাদের নেতৃত্বে যে কোনও দলই শক্তিশালী জোট তৈরি করতে পারবে।’ কিন্তু, কীভাবে? সমীকরণই বা কী হবে? সেই পরিকল্পনা খোলসা করেননি প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সরকার গঠনে সমস্যা হবে না। বিহারের উদাহরণ টেনে তিনি জানান, বিহারে মাত্র ৪৪ জন বিধায়ক নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে রয়েছেন নীতীশ কুমার।
এবারে ৯০ আসনের বিধানসভা ভোটে ৬৯টি কেন্দ্রে লড়ছে জেজেপি। অন্যদিকে, জোটসঙ্গী এএসপি প্রার্থী করছে ১৬ জনকে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে চন্দ্রশেখর আজাদের দলের সঙ্গে জোটের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, দুই দলেরই লক্ষ্য কৃষক ও অনগ্রসর শ্রেণির উন্নতি সাধন।
জানা গিয়েছে, এবারও উচনা কালান আসন থেকেই ভোটে দাঁড়াচ্ছেন চৌতালা। গত নির্বাচনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন্দ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রেমলতাকে হারান তিনি। এবার হাত শিবির প্রার্থী করেছে বীরেন্দ্র-পুত্র বিজেন্দ্রকে। যদিও প্রার্থী বদলে কোনও ফারাক পড়বে না বলে আত্মবিশ্বাসী প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার হরিয়ানার ভোটে মূল ইস্যু কৃষক-অসন্তোষ। কৃষক আন্দোলনের সময় হরিয়ানায় বিজেপির জোটসঙ্গী ছিল জেজেপি। তাই এবারে ভোটারদের মন জয়ে সব দোষ পদ্মশিবিরের ঘাড়ে ঠেলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন চৌতালা।