মূল্যবৃদ্ধিকে কোনোভাবেই লাগাম পরাতে পারছে না মোদি সরকার। মাথাব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। এর ফলে রেপো রেট কমাতে পারছে না রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। এই পরিস্থিতিতে কি স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কিছুটা বাড়াতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার?
স্পিকারের আসনে বসেই আচমকা ৪৯ বছর আগের ‘জরুরি অবস্থা’র প্রসঙ্গ টানায় ওম বিড়লার উপর ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধী। স্রেফ লোকসভার স্পিকারই নন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির অভিভাষণেও ছিল জরুরি অবস্থার উল্লেখ। যা শুনে অসন্তুষ্ট কংগ্রেস।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পাঁচদিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও বিশেষ সিবিআই আদালত তিনদিনের হেফাজত মঞ্জুর করে। রেহাইয়ের আবেদন জানালেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি মঞ্জুর হয়নি।
সেঙ্গল নিয়ে সরগরম সংসদ। নতুন সংসদভবনে লোকসভায় অধ্যক্ষর আসনের একেবারেই পাশেই রাখা এই পাঁচ ফুট লম্বা সোনায় মোড়া ‘রাজদণ্ড’। আর তা নিয়েই সরকারের সঙ্গে সংঘাত বাধল বিরোধীদের। গণতান্ত্রিক দেশের সংসদে রাজতন্ত্রের এই প্রতীকের প্রাসঙ্গিতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী সাংসদরা।
কার্যত শিকেয় রেলের যাত্রী সুরক্ষা। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর এক মাসও কাটেনি। রেলযাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ওই দুর্ঘটনা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার শপথগ্রহণ করতে না করতেই প্রশ্ন ফাঁস ইস্যুতে কোণঠাসা এনডিএ সরকার। কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিরোধী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ও। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সংসদের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে নিট দুর্নীতির কথা কার্যত মেনে নিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
রাজনীতির বৃত্তে তাঁদের অহি-নকুল সম্পর্ক। কিন্তু বিধানসভায় দুই নেতার ‘আকস্মিক সাক্ষাৎ’ ঘিরে গুঞ্জন মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাদল অধিবেশন। আর প্রথম দিনেই বিধানসভায় লিফ্টের সামনে মুখোমুখি হয়ে পড়লেন উদ্ধব থ্যাকারে ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারির জেরে বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়ল। কারণ শিক্ষামন্ত্রকের বার্ষিক প্রতিবেদনেই ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির ঢালাও প্রশংসা করা হয়েছিল। শুধুমাত্র প্রশংসা করেই ক্ষান্ত থাকেনি বিজেপি সরকার। একেবারে স্বনির্ভর পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার তকমাও দেওয়া হয়েছিল।
প্রবল বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা উত্তরপ্রদেশের মন্দির-শহর অযোধ্যার। উদ্বোধনের ছ’মাসের মধ্যেই ছাদ থেকে জল পড়ছে রামমন্দিরের গর্ভগৃহে। পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিকাঠামোও কার্যত ভেঙে পড়েছে।
নিট জালিয়াতি মামলায় বিহার থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তভার নেওয়ার পর এই প্রথম কোনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই। বৃহস্পতিবার বিহারের পাটনা থেকে মণীশ কুমার ও আশুতোষ কুমার নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আগামী শনিবার শুরু হতে চলেছে অমরনাথ যাত্রা। আর তার আগেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোটা যাত্রাপথ। বৃহস্পতিবারই এসংক্রান্ত যাবতীয় বন্দোবস্ত খতিয়ে দেখেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।
এক সপ্তাহে চতুর্থবার। বিহারে ফের সেতু-বিপর্যয়। এবার কিষাণগঞ্জ জেলার কাঙ্কাই নদীর উপর ৭০ মিটারের সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। এর জেরে বাহাদুরগঞ্জ এবং দিঘলব্যাঙ্ক ব্লকের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: গত সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরই রেল বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, পিছনে থাকা মালগাড়ির চালক সিগন্যাল না মানার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিনা তদন্তেই মালগাড়ির চালকের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দেওয়ায় যথেষ্ট বিড়ম্বনাতেও পড়তে হয় মন্ত্রককে। পরে কমিশনার্স অব রেলওয়ে সেফটি দুর্ঘটনার যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে, সেখানে মালগাড়ির নির্ধারিত গতি সীমা না মেনে চলাকেই দায়ী করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মালগাড়ির চালক, যিনি ওই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, আদপেই সিগন্যাল ভঙ্গ করেছিলেন কি না, তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু অতীতে রেলে একাধিকবার সিগন্যাল না মানার ঘটনা ঘটেছে।
২০১৯-২০ আর্থিক বছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের মধ্যে রেলে মোট ১৭৪টি এহেন সিগন্যাল ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের মধ্যে যে ক’টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার অন্তত ১০টিই ঘটেছে সিগন্যাল না মানার কারণে। অর্থাৎ, রেলযাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে বর্তমানে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে ‘স্পাড’। ‘সিগন্যাল পাসড অ্যাট ডেঞ্জার’। রেলের এহেন অভ্যন্তরীণ পরিসংখ্যানে উদ্বেগ একেবারে চরমে উঠেছে। রেল সূত্রের ব্যাখ্যা, ২০১৯-২০ থেকে ২০২২-২৩ এর মধ্যে ১৭৪টি সিগন্যাল ভঙ্গের ঘটনা ঘটলেও যে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তা মোটেও নয়। কিন্তু রেলযাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার সঙ্গে যে আপস করা হয়েছিল, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
রেল সূত্র জানিয়েছে, শুধু ২০১৯-২০ আর্থিক বছরেই মোট ৬০টি ক্ষেত্রে সিগন্যাল না মেনে ট্রেন চালানোর অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট লোকো পাইলট এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের বিরুদ্ধে। অনেক ক্ষেত্রেই কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রেলের এমন গা-ছাড়া মনোভাব আটকানো যাচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। শুধুই সিগন্যাল না মানার জন্য নয়। বিভিন্ন কারণে বিগত পাঁচ বছরে সারা দেশে ক’টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে? রেলের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯-২০তে ৫৫টি, ২০২০-২১এ ২২টি, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৩৫টি, ২০২২-২৩এ ৪৮টি এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৪০টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে নানা কারণে। অর্থাৎ, উদ্বেগ থাকছেই।
২০১৯-২০ আর্থিক বছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের মধ্যে রেলে মোট ১৭৪টি এহেন সিগন্যাল ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের মধ্যে যে ক’টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার অন্তত ১০টিই ঘটেছে সিগন্যাল না মানার কারণে। অর্থাৎ, রেলযাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে বর্তমানে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে ‘স্পাড’। ‘সিগন্যাল পাসড অ্যাট ডেঞ্জার’। রেলের এহেন অভ্যন্তরীণ পরিসংখ্যানে উদ্বেগ একেবারে চরমে উঠেছে। রেল সূত্রের ব্যাখ্যা, ২০১৯-২০ থেকে ২০২২-২৩ এর মধ্যে ১৭৪টি সিগন্যাল ভঙ্গের ঘটনা ঘটলেও যে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তা মোটেও নয়। কিন্তু রেলযাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার সঙ্গে যে আপস করা হয়েছিল, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
রেল সূত্র জানিয়েছে, শুধু ২০১৯-২০ আর্থিক বছরেই মোট ৬০টি ক্ষেত্রে সিগন্যাল না মেনে ট্রেন চালানোর অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট লোকো পাইলট এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের বিরুদ্ধে। অনেক ক্ষেত্রেই কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রেলের এমন গা-ছাড়া মনোভাব আটকানো যাচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। শুধুই সিগন্যাল না মানার জন্য নয়। বিভিন্ন কারণে বিগত পাঁচ বছরে সারা দেশে ক’টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে? রেলের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯-২০তে ৫৫টি, ২০২০-২১এ ২২টি, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৩৫টি, ২০২২-২৩এ ৪৮টি এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৪০টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে নানা কারণে। অর্থাৎ, উদ্বেগ থাকছেই।
