কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
নিট কেলেঙ্কারির কেন্দ্রীয় চরিত্র কি অত্রিই? তদন্তকারীদের হাতে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁরা জানতে পেরেছেন, এর আগেও বিভিন্ন রাজ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এই যুবক জড়িত ছিল। কিন্তু কে এই অত্রি? কীভাবে কাজ করত তার ‘সলভার গ্যাং’? জানা যাচ্ছে, ২০১২ সালে ডাক্তারিতে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে অত্রিকে গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিসের অপরাধ দমন শাখা। আর এবার বিহার পুলিসও তদন্তে নেমে ধৃতদের কাছ থেকে এই অত্রির নাম জানতে পারে। তার ভিত্তিতেই উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ তাকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০০৭ সালে অত্রির পরিবার তাকে রাজস্থানের কোটায় পাঠিয়েছিল। ডাক্তারিতে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। ২০১২ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে পিজিআই রোহতাকে ভর্তিও হয় অত্রি। কিন্তু চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় সে অনুপস্থিত থাকে। গোয়েন্দাদের দাবি, এই সময় থেকেই ‘শিক্ষা মাফিয়া’দের সঙ্গে অত্রির যোগাযোগ গড়ে ওঠে। প্রাথমিকভাবে অন্য পড়ুয়াদের ‘প্রক্সি’ হিসেবে বিভিন্ন পরীক্ষায় বসতে শুরু করে মেধাবী অত্রি। এরপর ধীরে ধীরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের নেটওয়ার্কের সঙ্গেও যুক্ত হয়ে পড়ে সে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অত্রি এরপর নিজের ‘সলভার গ্যাং’ তৈরি করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ তৈরি করে মোটা টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার আগেই ‘ক্লায়েন্ট’ পড়ুয়াদের প্রশ্নের সমাধান সহ উত্তর সরবরাহ করতে শুরু করে।
চাঞ্চল্যকর এইসব তথ্য সামনে আসায় বিহার পুলিসও তদন্তের জাল আরও ছড়াতে শুরু করেছে। শনিবার বিহার পুলিসের আর্থিক অপরাধ শাখা দাবি করল, নিট-এর রেফারেন্স প্রশ্নপত্র তাঁদের হাতে এসেছে। গত মাসে পাটনার একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে অর্ধদগ্ধ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছিল। সেই নথির সঙ্গে এবার এই প্রশ্নপত্রগুলি মিলিয়ে দেখা হবে। পুলিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতরা বারবার বয়ান বদল করে তদন্তের প্রক্রিয়াকে বেপথে চালিত করার চেষ্টা করছে। সেই কারণেই অভিযুক্তদের নারকো অ্যানালিসিস ও ব্রেইন ম্যাপিং করা কথা হতে পারে। পাশাপাশি নিট কেলেঙ্কারিতে অর্থ তছরুপের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পৃথকভাবে ইডির নেতৃত্বেও তদন্ত শুরু হতে পারে।