অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
শাস্ত্রী ভবনে একাধিক মন্ত্রকের কার্যালয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শিক্ষামন্ত্রক, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক, আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রকের মতো একাধিক দপ্তর। বিভিন্ন মন্ত্রকের পিআইও আধিকারিকরাও বসেন এখানেই। প্রত্যেকের একটাই প্রশ্ন, তাহলে এবার নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কারা? তাঁদের সঙ্গে কাজে কতটা স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন কর্মীরা? নতুন যাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হবেন, তাঁরা কতটা কাজপাগল? এমনই হরেক প্রশ্ন এবং জল্পনায় এদিন কার্যত চায়ের কাপে তুফান উঠেছে মন্ত্রকের কার্যালয়গুলিতে। অনেক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীই নিজের মতো করে তৈরি করে নিয়েছেন সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা! যেন লাগলে তুক, না লাগলে তাক!
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেলকর্তা বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্মী। আমাদের কোনও বাছবিচার থাকতে পারে না। আমাদের বস সরকার। তারা যা বলবে, সেই নির্দেশ আমাদের পালন করতে হবে। ফলে কে আসছেন, কে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কথাই নয়। তবুও দীর্ঘদিন ধরে একজন মন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে করতে একটা পারস্পরিক সমন্বয় তো তৈরি হয়েই যায়। কাজ করার ক্ষেত্রে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।’
শাস্ত্রী ভবনে কর্মরত এক পিআইও আধিকারিক বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পাল্টে যাওয়া মানে তো শুধুই একজন ব্যক্তিবিশেষ বদল হওয়া নয়। তাঁর সঙ্গে পুরো টিমই প্রায় পাল্টে যায়। ফলে খোঁজখবর করার একটি তাগিদ থেকেই যায়!’ দিল্লির বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি কার্যালয়ে সাধারণত বেলা একটা থেকে ঘণ্টাখানেকের জন্য মধ্যাহ্নভোজের বিরতি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার অবশ্য প্রায় সর্বক্ষণই মুখ চালাতে চালাতে আলোচনা সেরেছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী-আধিকারিকদের একাংশ। হঠাৎ করে ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের জরুরি ডাক হলে যেন খানিক অনিচ্ছা নিয়েই ফাইল হাতে সিঁড়ি ভেঙেছেন। অথবা দ্রুত ই-ফাইল পাঠিয়ে আবারও মন দিয়েছেন টেলিভিশনের ব্রেকিং নিউজে। এমন দিনে খবর থেকে চোখ সরানো যায় নাকি!