অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
বাংলায় কংগ্রেসকে দুটি লোকসভা আসন ছাড়তে চেয়েছিলেন মমতা। ওই দুটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীর জেতার ক্ষেত্রে তৃণমূলের সম্পূর্ণ সহযোগিতাও থাকত বলে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু দেখা যায়, বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কথা না বলে কংগ্রেস জোট করে সিপিএমের সঙ্গে। যে বিষয়টিকে ভালো চোখে নেয়নি তৃণমূল। তাছাড়া কংগ্রেস ও সিপিএমকে টাকা দিয়ে বিজেপি মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এই অবস্থায় দেখা গিয়েছে, বহরমপুরে অধীর চৌধুরি নিজেই হেরে গিয়েছেন। প্রতিক্রিয়ায় মমতা বলেছেন, উনি তো কংগ্রেসের লোক নন, উনি বিজেপির লোক। ঔদ্ধত্যের জন্য উনি হেরেছেন। বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য কংগ্রেস যদি ভোট কাটাকাটির খেলায় না যেত, তাহলে আরও কয়েকটি আসনে ফল ভালো হতো বলে তৃণমূলের মত। বাংলার কংগ্রেস এই আচরণ করলেও, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মমতা। এছাড়াও মমতার সঙ্গে কথা হয়েছে অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব, উদ্বব থ্যাকারে, শরদ পাওয়ার, কল্পনা সোরেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী ও শারদ পাওয়ারের সঙ্গে। তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, মোদি আউট। ইন্ডিয়া ইন। ইন্ডিয়া জোট কেউ ভাঙতে পারবে না। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায়, এখন টিডিপি আর নীতীশ কুমারের পায়ে পড়তে হয়েছে বিজেপির নেতাদের।
ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের সঙ্গে মমতার কথাবার্তা চলছে। আগামীদিন তৃণমূল সদর্থক ভূমিকা নিয়েই এগতে চায়। মমতা বলেছেন, আমি কিছু চাই না। এজেন্সি আগ্রাসন বন্ধ করা, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা, রাজ্যগুলির মর্যাদা ও প্রাপ্য দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে। এই লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আচরণকে ‘বিজেপির কণ্ঠস্বর’ হিসেবে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি নোংরা রাজনীতি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। তমলুক, কাঁথি সহ বিভিন্ন জায়গায় ছাপ্পা ও বিজেপির অবজারভাররা রাজনীতি করেছেন বলে অভিযোগ মমতার। - নিজস্ব চিত্র