অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
ওদিকে, ১০ জনপথ থেকে ২৪ আকবর রোডে আসার ভিতরকার রাস্তা দিয়ে এলেন রাহুল গান্ধী। হেঁটে। কংগ্রেস যাঁকে লোকসভা ভোটে দলের আসন বৃদ্ধির নায়ক হিসেবেই দেখছে। তিন নেতানেত্রীকে দেখেই উঠল স্লোগান। জয়ধ্বনি। হাত চিহ্ন আঁকা দলের তিরঙ্গা ঝান্ডা। মহিলাদের ভিড় ছিল দেখার মতো। আর উল্লেখযোগ্য, প্রাক্তন সেনা কর্মীদের একটি দল। তাঁরা দিলেন স্যালুট। মোদি ঝড় থামিয়ে অভাবনীয় ফল হয়েছে যে কংগ্রেসের।
বেলা যত গড়িয়েছে, ততই ভিড় বেড়েছে কংগ্রেস সদর দপ্তরে। যা ২০১৯ সালের সম্পূর্ণ বিপরীত। সেবার তাঁবু খাটিয়েও লোক জোটাতে পারেনি কংগ্রেস। খাঁ খাঁ চেহারার সাক্ষী হতে হয়েছিল। বিকেলে এসে হার মেনে নিয়েছিলেন সোনিয়া, রাহুল গান্ধী। এদিন এলেন জয়ের আনন্দ ভাগ করতে। দলের সদর দপ্তরের মাঠে বিরাট সাদা তাঁবুটায় থিকথিকে ভিড়। সাংবাদিক আর সাধারণের। মিডিয়া ব্রিফিং রুমে, সামনের উঠোনেও স্মার্ট টিভিতে ভোটের রেজাল্ট দেখে উচ্ছসিত কংগ্রেসিরা। এক একটি আসনে এগিয়ে থাকার ঘোষণা দেখেই জয়োল্লাস। রাহুলের ছবি নিয়ে নাচানাচি।
তাই অসুস্থতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রবল গরম উপেক্ষা করেও এলেন সোনিয়া। ব্রিফিং রুমে চলছে না এসি। সিলিং আর পেডিস্ট্রাল ফ্যানের হাওয়াতেও ভিড়ের চোটে গলদঘর্ম সকলেই। সাংবাদিক সম্মেলনে বসে সমানে হাতের কাগজকে পাখার মতো দোলাতে দেখা গেল সোনিয়া গান্ধীকে। যদিও মুখে লেগে রইল হাসি। মোদির দর্প চূর্ণ হয়েছে যে! স্রেফ সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কাই নন। মঙ্গলবার দলের ফলাফলে কংগ্রেস অফিসেও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এআইসিসির বেয়ারা, অফিস কর্মী, নেতাদের মুখে ফিরেছে হাসি। ক্যান্টিনে তৈরি হয়েছে স্পেশাল ১০০ কিলো লাড্ডু আর বালুসাই। যে যাচ্ছে, মিলছে ফ্রি।