অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এদিন ভোট গণনা পর্ব যত এগিয়েছে, ততই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ‘জোড়াফুল’ ফোটার খবর আসতে শুরু করে কালীঘাটে। পাল্লা দিয়ে ভিড় বাড়ছিল বঙ্গ রাজনীতির ‘ভরকেন্দ্র’ ৩০, বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে, ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম স্থপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবাসস্থলে। সবুজ আবিরে ঢেকে যায় গোটা এলাকা। নাগাড়ে বাজছিল বাদ্যযন্ত্র। সঙ্গে ‘লক্ষ্মী’র ভাণ্ডারের প্রাপকদের তুমুল হর্ষ-উল্লাস আর গগনভেদী স্লোগান—‘মোদি-শাহ দেখে যা, মমতা-অভিষেকের ক্ষমতা!’
নেত্রীর প্রতীক্ষায় ছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। এক্সিট পোলে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করে দেওয়ার পরও, বুম, ক্যামরার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ কালীঘাটের বাসভবনে তাঁদের মুখোমুখি হন মমতা। হাত ধরে নিয়ে আসেন অভিষেককে। সাত লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে জয়ের জন্য দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ছিল তাঁর গলায়। দৃপ্ত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘ইন্ডিয়াকে পুরোপুরি সমর্থন করছি। শরিকদলের সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। এবার দেশ বাঁচানোর পালা। বাংলায় জোর করে চার-পাঁচটা সিট হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। তমলুকে ভোট লুট আর কাঁথিতে চুরি হয়েছে।’ এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমোর আরও কটাক্ষ—‘বিজেপির তৈরি এক্সিট পোলের জবাব দিয়েছে মানুষ। ওরা আমাদের মনোবল ভাঙতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি প্রচারে বাংলার মানুষের চোখ, মুখ দেখেছি। জানতাম, বাংলা বিরোধীদের উপযুক্ত জবাব দেবেন তারাই।’