অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের পর সরকার যে দুর্বল হবে তাই নয়, মোদিও দুর্বল হবেন দলের অন্দরে। তাঁর সেই দাপট ও অথরিটি আর থাকবে না। তাই নতুন মুখ তৈরি থাকা দরকার। সর্বোপরি মোদি দুর্বল হওয়ায় সবথেকে সমস্যায় পড়বেন অমিত শাহ। অতএব মোদি-শাহ জোট ভবিষ্যতেও বিজেপির প্রধান পরিচালক থাকবেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। দলের মোদি বিরোধী অংশ ফের সক্রিয় হচ্ছে। ফলপ্রকাশের মধ্যেই নাড্ডার বাসভবনে চলে যান রাজনাথ সিং এবং অমিত শাহ। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটা নিয়েই আলোচনা হয়।
কিন্তু উত্তরপ্রদেশের এই হাল কেন? সন্দেহ, যোগী আদিত্যনাথ বনাম নরেন্দ্র মোদির যে গোপন ইগোর লড়াইয়ের কথা শোনা যায়, সেটি ভোটে কাজ করেছে? রাজনাথ সিং ও যোগী আদিত্যনাথ দুজনেই ঠাকুর। তাঁদের প্রভাব উত্তরপ্রদেশে বিশেষ কাজ করে উচ্চবর্ণের উপর। এবার কি সেই যৌথ প্রভাব ময়দানে কম নেমেছে? অন্তর্ঘাত কাজ করেছে? এই প্রশ্ন উঠছে। উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদি দুর্বল হলে অমিত শাহ দুর্বল হবেন। তাঁকেই আবার আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবা হচ্ছে। পক্ষান্তরে, যোগী আদিত্যনাথ, রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারি, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, শিবরাজ সিং চৌহানদের রাজনৈতিক গুরুত্ব বজায় রাখার জন্য জরুরি মোদির দুর্বল হওয়া। যেহেতু এবার ফলাফলে মোদি দুর্বল হয়ে গেলেন, তাহলে কি আগামী দিনে বিজেপির অন্দরেও মোদিযুগের অবসান ঘটবে ধীরে ধীরে?