অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
ব্যতিক্রমী নয়। বিজেপির পার্টি অফিসে মঙ্গলবার হেলায় পড়ে রইল আব কি বার, চারশো পারের স্লোগান সহ ব্যানার। জল-ধুলোয় মাখামাখি হয়ে গেল পোস্টার। লক্ষ্যমাত্রার বহু আগেই থমকে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের ‘বিজয়রথ’। তাই ঠিক কতটা উচ্ছ্বাস দেখালে তা যুক্তিযুক্ত হবে, সেটি স্থির করতে এদিন হিমশিম খেয়েছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিভ্রান্ত হয়েছেন। নাসিকের ব্যান্ডপার্টি রাম-লক্ষ্মণকে ভাড়া করে এনেছিলেন কিছু নেতাকর্মী-সমর্থক। সকালের দিকে তাদের জন্য নির্দেশ ছিল, এত জোরে বাজাও যাতে শব্দ শোনা যায় দু’কিলোমিটার দূরের আইটিও মোড় থেকেও। বেলা পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে চায়নি রাম-লক্ষ্মণ। তার আগেই বাদ্যযন্ত্র-সরঞ্জাম গুছিয়ে নিয়েছে তারা। সরাসরি মোদির হাতে তুলে দেবেন বলে হাতে আঁকা প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবি এনেছিলেন বিজেপির এক সমর্থক। যদিও শেষমেশ তা বিজেপির সদর কার্যালয়ে উপস্থিত এক নেতার হাতেই তুলে দিয়েছেন তিনি। কারণ, লোকসভা নির্বাচনে এহেন ফলাফলের পর আদৌ মোদি নিজে বিজেপি কার্যালয়ে এসে নেতাকর্মী, সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দেবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল প্রথম থেকেই।
তবে তিনি এসেছেন। জয়ের উদযাপনও হয়েছে কার্যত নিয়ম-রক্ষাতেই। লোকসভা ভোটের ফলাফলের যে আবহ সাধারণত ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি কার্যালয়ে দেখে অভ্যস্ত আমজনতা, এবার তা দৃশ্যতই উধাও হয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লির ৬-এ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ থেকে। শুধুমাত্র সাধারণ কর্মী-সমর্থকরাই নন। নেতাদের ‘এনার্জি’ও যেন ফুরিয়েছে দ্রুত। পার্টি অফিসের অস্থায়ী মিডিয়া রুমে এদিন সেভাবে দেখা মেলেনি বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতার। প্রশ্নবাণ সামলেছেন তুলনায় কিছুটা পিছনের সারিতে থাকা দলীয় নেতারা। বিকেলে অবশ্য পার্টি অফিসে এসেছেন শীর্ষ নেতা তরুণ চুঘ। কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ঢোল বাজিয়েছেন। কিন্তু সার্বিকভাবে উধাও হয়ে গিয়েছে তারুণ্যের ‘জোশ’ই!