পাটনা (পিটিআই): ২৩ জুন, ২০২৩। পাটনা। বিজেপি বিরোধী দলগুলির প্রথম বৈঠক। আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। সেই নীতীশই পরে ফের এনডিএ শিবিরে ফিরে আসেন। মহাজোট ছেড়ে বিজেপির সমর্থনে আবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন।  সেই ‘পাল্টুরাম’ নীতীশ কুমারের হাত ধরেই বিহারে লোকসভা ভোটে মুখরক্ষা হল এনডিএ তথা বিজেপির। প্রত্যাশার তুলনায় অনেকটাই ভালো ফল করল তাঁর দল জেডিইউ। রাজ্যের ৪০টি আসনের মধ্যে এনডিএ শিবিরের ঝুলিতে আসছে ৩০টি আসন। ১৬টি আসনে লড়ে জেডিইউয়ের দখলে ১২টি। তার থেকে একটি বেশি ১৭টিতে লড়ে জোটসঙ্গী বিজেপির হাতেও ১২টি আসন। পাঁচটি আসনে একশো শতাংশ স্ট্রাইক রেটে জিতেছে এনডিএর অন্য শরিক চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপির। গয়া আসনে জিতেছেন এনডিএ শরিক হ্যামের নেতা জিতনরাম মাঝি। তবে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া বিজেপির হাত ছেড়ে নীতীশ ফের বিরোধী শিবিরে ভেড়েন কি না, সেই চর্চাও শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনে অন্যতম ‘কিং মেকার’ হতে চলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। পাশপাশি বিহার এবার ইন্দ্রপতনের সাক্ষীও থাকছে। আরা আসনে হেরেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে সিং। 
বিহারে ‘ইন্ডিয়া’ শিবির থেকে লালুপ্রসাদের আরজেডি ২৩টি আসনে লড়ে চারটিতে জয়ী হয়েছে। তার মধ্যে পাটলিপুত্র আসন থেকে জিতেছেন লালুর বড় মেয়ে মিসা ভারতী। তবে সারণ আসনে প্রবীণ বিজেপি নেতা রাজীবপ্রতাপ রুডির কাছে হারতে হয়েছে লালুর ছোট মেয়ে রোহিণী আচার্যকে। বিহারের একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে একটিও আসনে জিততে পারেনি আরজেডি। সেই তুলনায় এবারের এই ফল মন্দের ভালো। ‘ইন্ডিয়া’ শিবির থেকে কংগ্রেস ন’টি আসলে লড়ে জয়ী হয়েছে তিনটিতে। কিষানগঞ্জ, কাটিহার ও সাসারাম এসেছে হাতের দখলে। অপর জোটসঙ্গী সিপিআই (এমএল) জিতেছে আরা ও কারাকাট আসনে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই কারাকাট আসনে এনডিএ প্রার্থী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াকে হারতে হয়েছে। এই আসনেই ভোজপুরী সুপারস্টার পবন সিং নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোয় এনডিএর লড়াই কঠিন হয়ে পড়ে। তাৎপূর্যপূর্ণ ফল পূর্ণিয়া আসনেও। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া বাহুবলী নেতা পাপ্পু যাদব টিকিট না পেয়ে জোটের আরজেডি প্রার্থী ও এনডিএ শিবিরের জেডিইউ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। এই আসনে নির্দল হিসেবেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন পাপ্পু।