অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে টিডিপি নেতৃত্বাধীন জোট। ১৭৫ আসনের মধ্যে ১৬৫টি আসনই পেয়েছে জোট। তার মধ্যে তেলুগু দেশম পার্টি একাই পেয়েছে ১৩৪টি আসন। জোটসঙ্গী জনসেনা পার্টি ২১টি ও বিজেপি আটটি আসন জিতেছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআরসিপি পেয়েছে মাত্র ১২টি আসন। ফল প্রকাশের পরে মঙ্গলবারই রাজভবনে যাচ্ছেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন তিনি। জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় জয় প্রায় নিশ্চিত হতেই নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে ফোন করেন চন্দ্রবাবু নাইড়ু। লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এগিয়ে থাকায় মোদি-শাহকে শুভেচ্ছা জানান চন্দ্রবাবু। অন্ধ্রে ক্ষমতা বদলের কারিগর চন্দ্রবাবুকেও পাল্টা শুভেচ্ছা জানান মোদি-শাহ। লোকসভা ফলাফলের নিরিখে এনডিএ ও ইন্ডিয়া দু’দিকেই গুরুত্ব বেড়েছে চন্দ্রবাবু নাইড়ুর। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের তরফে অন্ধ্রকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার বার্তা এসেছে। এই টানাপোড়েনে টিডিপি সুপ্রিমোর সঙ্গে এসে দেখা করেন রাজ্যের বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং। একের পর এক জনমোহিনী নীতি নেওয়ার পরেও এই হারে কার্যত হতবাক বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। ঘনিষ্ঠ মহলে এই ফলাফলে বিস্ময় প্রকাশ করেও জনগণের রায় মাথা পেতে নিয়েছেন তিনি। এদিন জয় নিশ্চিত হতেই অন্ধ্রপ্রদেশজুড়ে রীতিমতো উৎসবে মেতে ওঠেন টিডিপি, জনসেনা ও বিজেপি সমর্থকরা। দলীয় কার্যালয়গুলিতে শুরু হয় মিষ্টি বিলি। তখন ওয়াইএসআরসিপি পার্টি অফিস প্রায় শূন্য। যে কয়েকজন বসে আছেন, তাঁদের মধ্যেও শোকের আবহ। গতবারের নির্বাচনে ১৫১টি আসন জিতেছিল জগনের দল। তার পরে কেন এই ফল? রাজনৈতিক মহলের মতে, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ুকে গ্রেপ্তার করেছিল জগন সরকার।
সেই ঘটনায় সহানুভূতি ভোট এসেছে টিডিপি সুপ্রিমোর দিকে। সঙ্গে জনসেনা ও বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ায় সরকার বিরোধী ভোটও ভাগ হয়নি। ওয়াইএসআরসিপির বিরুদ্ধে গিয়েছে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাও। পাশাপাশি জগনের উন্নয়ন প্রকল্পের মোকাবিলায় চন্দ্রবাবুর দল যে ছ’দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাতে কাজ বেশি হয়েছে।