মুম্বই: দল ভেঙেছে।  দলের নাম, প্রতীক হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনের ফল বলে দিচ্ছে, শারদ পাওয়ার ও উদ্ধব থ্যাকারে এখনও ফুরিয়ে যাননি। নির্বাচন কমিশন দলের নাম ও প্রতীক অন্যকে দিয়ে দিলেও, সাধারণ মানুষের আবেগ তাঁদের সঙ্গেই রয়েছে। আর মানুষের কাছে শারদ ও উদ্ধবই এখনও আসল এনসিপি ও আসল শিবসেনা। মহারাষ্ট্রে শারদ পাওয়ারপন্থী এনসিপি এগিয়ে রয়েছে সাতটি আসনে। আর উদ্ধবপন্থী শিবসেনা এগিয়ে ১১ আসনে। উল্টোদিকে, শারদের হাত ছেড়ে আসল এনসিপির নাম ও প্রতীক ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ভাইপো অজিত পাওয়ার। তাঁর দল এগিয়ে মাত্র একটি আসনে। আর উদ্ধবের হাত ছেড়ে আসা একনাথ সিন্ধের শিবসেনা এগিয়ে পাঁচটি আসনে। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএকে পিছনে ফেলে দিয়েছে শারদ, উদ্ধব ও কংগ্রেসের জোট। তারা এগিয়ে ২৯টি আসনে। অন্যদিকে, অজিত, একনাথ ও বিজেপি জোট এগিয়ে রয়েছে মাত্র ১৮টি আসনে।
পাওয়ার পরিবারের ঘরের মাঠ বলে পরিচিত বারামতীতে স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারকে প্রার্থী করেছিলেন অজিত পাওয়ার। বিপক্ষে ছিলেন তিনবারের সাংসদ তথা শারদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। নিজেদের গড়ে শারদ ও অজিতের মর্যাদার যুদ্ধের পাশাপাশি বউদি ও ননদের লড়াই নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম থেকেই চর্চা ছিল। সেই বারামতীতে সুপ্রিয়া রাত পর্যন্ত ৫০  হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তাঁর জয় কার্যত নিশ্চিত। সুপ্রিয়া বলেন, ‘আমি বারামতীর মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। এই জয়ের পর দায়িত্ব আরও বাড়ল। ভোটের সময় যা হয়েছে, তা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে মানায় না।’
লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে এনডিএ কেমন ফল করে, তার দিকে নজর ছিল সকলের। ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, বড় ক্ষতি হয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ-র। গত লোকসভা নির্বাচনে ৪৮টি আসনের মধ্যে ৪১টি পেয়েছিল বিজেপি ও অবিভক্ত শিবসেনা। এনসিপি পেয়েছিল চারটি আসন। এবার সেই তুলনায় অনেক কম আসন পেতে চলেছে বিজেপি। অন্যদিকে, দল ভাঙলেও লাভবান হয়েছেন শারদ ও উদ্ধব। এদিন শারদ বলেন, এই ফলে স্পষ্ট দেশের মানুষ বদল চান আর মহারাষ্ট্র তাতে বড় ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর বক্তব্য, ‘মহারষ্ট্রের মানুষের জন্য আমি গর্বিত।’