অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
শুধু কি আমেথি। গোটা উত্তরপ্রদেশই কংগ্রেসে যে আবার পা রাখার জমি খুঁ.জে পেয়েছে তার নেপথ্য কারিগর তিনিই। অখিলেশের সঙ্গে জোট গড়া থেকে শুরু করে ভোট প্রচারে নেমে রাজ্যে একটা শক্তি হিসেবে কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই দাদা রাহুল যদি পান সেনাপতির সম্মান, তাহলে বোন প্রিয়াঙ্কারও কংগ্রেসের সম্মান ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব প্রাপ্য। দেশজোড়া তাঁর নিরলস পরিশ্রমের ফলেই যে আসন সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বাড়াতে পেরেছে কংগ্রেস, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁকেই দলের ক্রাউড পুলার বলা হয়। প্রতিটি র্যালি ও সভায় তা প্রমাণও করেছেন সোনিয়া-তনয়া। রায়বেরিলিতে রাহুলের ব্যাপক জয় তো বটেই, গান্ধী পরিবারের নাম জড়িয়ে থাকা আমেথিও ফের দখলে আনা কম কৃতিত্ব নয়। তাও স্মৃতি ইরানির মতো মোদির হেভিওয়েট মন্ত্রীকে হারানো। দলের ৪০ বছরের কর্মকর্তা কিশোরীলাল শর্মাকে আমেথি থেকে জেতানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। প্রমাণ করেছেন। ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৯৬ ভোটে স্মৃতি ইরানিকে হারিয়েছেন কিশোরীলাল। একইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশে যেখানে ২০১৯ সালে ছিল কংগ্রেসের মাত্র একটি আসন, সেখানে এবার ভোটে ছ’টি আসন দখল করেছে। আমেথি, রায়বেরিলি, সাহারানপুর, সীতাপুর, এলাহাবাদ এবং বারাবাঁকি।
উত্তরপ্রদেশের এই ফলাফল দেখে রাহুল পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন বোন ‘পি’কে। প্রিয়াঙ্কাকে আদর করে এই নামেই ডাকেন তিনি। বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের জনতা কামাল করে দিয়েছে। ভারতের রাজনীতি বুঝে মোদিজিকে ঝটকা দিয়েছে। আর এর জন্য বাহবা দিতে হবে প্রিয়াঙ্কাকে। মঙ্গলবার এআইসিসিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে। আর দূরে নিঃশব্দে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। যা দেখিয়ে রাহুল বললেন, প্রিয়াঙ্কা ওখানে লুকিয়ে আছে ঠিকই। তবে উত্তরপ্রদেশে দলের এই ফলাফলে ওর অবদান অনেক।
আমেথি জেতার পরেই সরষে খেতে বসে কিশোরীলাল শর্মার সঙ্গে স্টিলের থালায় রুটি সব্জি খাওয়ার একটি পুরনো ছবি টুইট করেছেন প্রিয়াঙ্কা। লিখেছেন, জয়ের ব্যাপারে প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিলাম। আমেথির জনতাকে ধন্যবাদ। উত্তরপ্রশের প্রিয়াঙ্কার এই সাফল্যের পরেই দলের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে গুঞ্জন। তবে কি রায়বেরিলি থেকে উপনির্বাচনে সংসদে পা রাখবেন সোনিয়া-কন্যা? কারণ, কেরলের ওয়েনাড় এবং রায়বেরিলি দুটিই জিতেছেন রাহুল গান্ধী। নিয়ম অনুযায়ী এর মধ্যে যেকোনও একটি আসন ছাড়তে হবে রাহুলকে। ‘কোনটি তা এখনও ঠিক করিনি। দলের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করব।’ বলেছেন রাহুল।