অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
বরাবরই ঠোঁটকাটা, স্পষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা। বলিউডে স্বজনপোষণ, পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর একের পর এক বিস্ফোরক বয়ান শিরোনামে এসেছিল। তারপর রাজনীতির ময়দানে নেমেও সেই পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধেই লড়তে হয়েছিল তাঁকে। প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ বিক্রমাদিত্য রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র। রামপুর রাজপরিবারের উত্তরাধিকারি। ফলে তাঁর লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না। যদিও শেষপর্যন্ত ‘হেভিওয়েট’ প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করলেন কঙ্গনা। অতীতে তাঁকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে জোরদার প্রচার চালিয়েছিল কংগ্রেস। রক্ষণশীল হিন্দুদের একাংশ আবার কঙ্গনার অভিনয় পেশা এবং পোশাক নিয়েও ক্ষুণ্ণ ছিল। উল্টোদিকে, কঙ্গনার ভরসা ছিল মোদি হাওয়া। আর সেই হাওয়া পালে লাগিয়ে শেষ হাসি হাসলেন তিনিই। তারপর পরিণত রাজনীতিকের মতো প্রতিপক্ষকে কটাক্ষও ছুঁড়ে দিলেন। কারও নাম না করে বললেন, ‘মেয়েদের অপমানকে ভালোভাবে নেয়নি মান্ডি। আমাকে মুম্বই পাঠানোর কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু, হিমাচল প্রদেশ আমার জন্মভূমি আর এখানকার মানুষের সেবা করা আমার কর্তব্য। তাই কোথাও যাচ্ছি না। বরং অন্য কারও ব্যাগ গুছিয়ে পালনোর সময় এসেছে।’
শুধু কঙ্গনাই নন, হিমাচলের চারটি লোকসভা আসনেই জয় পেয়েছে পদ্ম-শিবির। হামিরপুর কেন্দ্রে জয় পেয়েছেন বিজেপির অনুরাগ সিং ঠাকুর। প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী সতপাল রায়জাদাকে প্রায় ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন তিনি। আবার কাংরা লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী ডাঃ রাজীব ভরদ্বাজ। কংগ্রেস প্রার্থী আনন্দ শর্মাকে প্রায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার ভোটে হারিয়েছেন তিনি। সিমলা আসনের ছবিটাও একই। সেখানে বিজেপির সুরেশকুমার কাশ্যপ প্রায় ৯১ হাজার ভোটে জিতেছেন।