কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
এই দলবদলের পরই মায়াবতী মুখ খুলেছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস প্রতারকের দল। ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের বিরোধী দল হল কংগ্রেস। এই কারণেই বাবাসাহেব আম্বেদকর কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। কংগ্রেসে বারংবার এই একইভাবে পিছন থেকে ছুরি মারার কাজ করেছে। যে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে লড়াই করার পরিবর্তে কংগ্রেস উলটে তার সহযোগী দলগুলিকেই খতম করার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতার জন্যই কংগ্রেসকে আর কোনও আঞ্চলিক দল আর বিশ্বাস করে না। মায়াবতীর এই ক্ষোভের কারণ হল উত্তরপ্রদেশের বাইরে একমাত্র রাজস্থানেই মায়াবতীর দলের ৬ জন বিধায়ক নিয়ে দলের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। কিন্তু এক ধাক্কায় এই রাজ্যে বহুজন সমাজ পার্টি বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়ায় মায়াবতী রাজনৈতিকভাবে রীতিমতো অস্তিত্বসঙ্কটের ভয় পাচ্ছেন ওই রাজ্যে। এছাড়া জাতীয় স্তরে দলের প্রভাব ও গুরুত্ব কমবে এর ফলে। রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে গত বছর কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল ১০০ আসনে। মায়াবতীর দলের ৬ জন এবং নির্দল ১২ জনের সমর্থনে রাজস্থানে গঠিত হয় কংগ্রেস পরিচালিত অশোক গেহলটের নেতৃত্বে সরকার। এবার মায়াবতীর দলের ৬ জন বিধায়ক সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস এককভাবেই অনেক শক্তিশালী হয়ে গেল গরিষ্ঠতার বিচারে। কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা হয়েছে ১০৬। আর সঙ্গে রয়েছে নির্দল ১২ জনের সমর্থন। এদিকে একদিকে যেমন মায়াবতী ধাক্কা খেলেন, তেমনই আবার বড়সড় হতাশা নেমে এসেছে বিজেপির মধ্যে। কারণ বিজেপি রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে মরিয়া হয়ে কংগ্রেস সরকারের অন্দরে ফাটল ধরাতে সচেষ্ট অনেকদিন থেকেই। এই কাজে. তাদের প্রধান টার্গেট ছিল মায়াবতীর দলের বিধায়করা। কিন্তু সেই মায়াবতীর দলের সব বিধায়কই যে কংগ্রেসে যোগ দেবে সেটা আন্দাজ করেনি বিজেপি।. তবে রাজস্থানে এই ধাক্কা খেয়ে এবার মধ্যপ্রদেশে মায়াবতী কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেটাই দেখার। কারণ মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে মায়াবতীর দল।