কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
আয়ুষ্মান ভারতের অধীন ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’র কার্ড থাকলে সুবিধাভোগীরা যে কোনও রাজ্যে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। নথিভূক্ত হাসপাতালগুলিও পরিষেবার বদলে অর্থ পাবে। যদিও এতদসত্ত্বেও রাজি নয় রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বক্তব্য, প্রকল্পটির বাস্তবায়নে রাজ্যকে ৪০ শতাংশ অর্থ খরচ করতে হয়। অথচ প্রকল্পর নাম ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’ কেন? দ্বিতীয়ত, রাজ্যের অবদানের কথা উল্লেখ না করেই কেন নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া আয়ুষ্মান ভারতের চিঠি বিতরণ হবে?
তাছাড়া আয়ুষ্মান ভারত চালুর আগে থেকেই রাজ্যে ক্ষমতায় এসে পশ্চিমবঙ্গে বিনা পয়সায় ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন মমতা। তাই গোড়ায় আয়ুষ্মান ভারতে যোগ দিলেও, পরে সরে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ। তবুও চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজি করাতে পারছেন না কেন? যেখানে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদের পাশাপাশি কলকাতাতেও আয়ুষ্মান ভারতের ২৪ ঘণ্টার কলসেন্টার কাজ করছে। প্রশ্ন করায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন হেসে উত্তর এড়িয়ে যান। বলেন, এ ব্যাপারে কী আর বলব। তবে আমরা চাই, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানাও গরিব পরিবারের বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা খরচের চিকিৎসা প্রকল্পে যুক্ত হোক।
উল্লেখিত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছাড়া বাকি সবাই এই প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে। গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ৪৫ লক্ষ গরিব মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছে। যার জন্য সরকার সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে জানান আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির মুখ্য কার্যনির্বাহী অফিসার ডাঃ ইন্দু ভূষণ।
প্রকল্পের বর্ষপূর্তি হিসেবে এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আয়ুষ্মান ভারতে গত এক বছরে ৪৫ লক্ষ রোগীর মধ্যে ৪০ হাজার মানুষ অন্য রাজ্যে গিয়েও চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত যে ১৮ হাজার ৭৩ টি হাসপাতাল প্রকল্পে নথিভুক্ত, তার মধ্যে ৫৩ শতাংশ বেসরকারি। এই প্রকল্পে গত এক বছরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও ওরাল, স্তন এবং সার্ভাইকাল ক্যানসারের চিকিৎসাও হচ্ছে।
হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি এবার টেলি কনসাল্টেশন সার্ভিসের মাধ্যমে রোগিকে পরামর্শ দেওয়ারও পাইলট প্রকল্প শুরু করতে চলেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবার নামে জালিয়াতি রুখতেও সরকার বদ্ধ পরিকর মন্তব্য করে ডা. হর্ষ বর্ধন জানান, জালিয়াতির অভিযোগে গোটা দেশে ৩৬৭ টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এক কোটির টাকার কিছু বেশি উদ্ধারও হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারতের নামে জালিয়াতি করায় ছ’টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে।