কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, নদীয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তিনি দেখছেন, মাঝারি মাপের ফুলকপি ৩ টাকা দরে বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা। গ্রামের হাটে তা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়। বাঁধাকপি গ্রামের হাটে বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ টাকা কেজি দরে। বেগুন, শিম, টমাটোসহ বিভিন্ন সব্জির দাম কমেছে। স্থানীয় কড়াইশুঁটি উঠতে আর কিছুদিন বাকি আছে। তখন বাজারে কড়াইশুঁটির দামও কমবে বলে আশা করছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্য।
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত নতুন আলু কলকাতার বাজারে ঢুকতে শুরু করবে বলে টাস্ক ফোর্সের কাছে খবর এসেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া থেকে নতুন আলু প্রথমে বাজারে আসবে। স্থানীয় নতুন আলু বেশি পরিমাণে খুচরো বাজারে এলে কেজি প্রতি দাম ২০ টাকার নীচে নেমে আসবে বলে আশা করছেন তাঁরা। বেশ কিছুদিন ধরে আলুর চড়া দাম নিয়ে যে হইচই চলছে তা এবার বন্ধ হবে বলে আশা করছে টাস্ক ফোর্স।
খুচরো বাজারে আলুর দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কিন্তু পাইকারি বাজারের দামের তুলনায় তা অনেকটাই
বেশি। প্রগতিশীল আলু ব্যব্যবসায়ী সমিতির নেতা লালু মুখোপাধ্যায় জানান, বাছাই করা আলু হিমঘর থেকে বেরনোর পর এখন কেজিতে দাম আছে ১৯-২০ টাকা। ওই আলু কলকাতার খুচরো বাজারে ৩০ টাকা দাম হওয়া উচিত নয়। টাস্ক ফোর্সের অবশ্য দাবি, কলকাতার খুচরো বাজারে হিমঘরের জ্যোতি আলু ও ভিন রাজ্যের নতুন আলু ২৮ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে নতুন আলুর দাম ২২ টাকার আশপাশে।
এদিকে হিমঘরে এখনও প্রায় ৩ লক্ষ টন আলু মজুত আছে। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর উপর সরকারি বিধিনিষেধের জন্য এত বেশি পরিমাণ আলু এখনও থেকে গিয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। স্থানীয় নতুন আলু বাজারে চলে এলে হিমঘরের আলুর চাহিদা আরও কমে যাবে। প্রচুর পরিমাণ হিমঘরের আলু এবার নষ্ট হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। ডিসেম্বরে হিমঘরে আলু রাখার বর্ধিত সময় শেষ হবে।