কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
বর্তমানে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় পাঁচ হাজার মহিলা। সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে গোরু প্রতিপালন করেন তাঁরা। সবমিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। ভবিষ্যতে তা ১০ হাজার লিটার করতে চাইছে রাজ্য। সে কারণে আরও উন্নত মানের গোরু আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। হরিয়ানা, গুজরাত বা পাঞ্জাব থেকে দেশি গবাদি পশু কিনে এখানে প্রতিপালন করলে সেই লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছনো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মহিলারা যাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে দু’টি করে গোরু কিনতে পারেন তার জন্য সাহায্য করবে সুন্দরীনি সমবায়। একেকটি গোরু কিনতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাগবে। ইচ্ছুক মহিলারা সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকার লোন নিতে পারবেন। এই নিয়ে বিভিন্ন ব্লকে প্রচার করা হবে। সুন্দরীনির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অম্বিকাপ্রসাদ মিশ্র বলেন, ‘এতে মহিলাদের আয় বৃদ্ধি হবে এবং আরও বেশি দুগ্ধজাত মিষ্টি তৈরি করে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে।’ জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্যের গোরু দৈনিক দুধ দেয় প্রায় ১০ লিটার। সে জায়গায় স্থানীয় গোরু প্রতিদিন দু’লিটারের মতো দুধ দেয়। নয়া ব্যবস্থায় দুধ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়লে দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা।