অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে ফিকে করার মূল কাণ্ডারী ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এরপরই নিজেকে ভোটযুদ্ধের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সেনাপতি হিসেবে ভাবতে শুরু করেছিলেন দিলীপ। কিন্তু দিল্লি শেষপর্যন্ত তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। রাজ্য সভাপতির পদ খোয়ানোর পাশাপাশি জেতা আসন থেকে সরিয়ে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র। সেখানে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৮১ ভোটে হারলেন তিনি। ধরাশায়ী দিলীপ আবার কি রাজনীতির ময়দানে ফিরে আসবেন, না কি তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার ‘ফিনিশ’ হয়ে গেল, সেটাই এখন বড় প্রশ্নের মুখে।
অর্জুন সিং নিজেকে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ‘বেতাজ বাদশা’ হিসেবে প্রচার করে গিয়েছেন কয়েক দশক ধরে। ভাবসাব এমন ছিল, তিনি যে দলেই যাবেন, ভোটাররা তাঁর নাম জয়ধ্বনি দেবেন। কিন্তু হিসেব মিলল না। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের কাছে ৬৪ হাজার ৪৩৮ ভোটে পরাস্ত হলেন তিনি। শুধু যে অঙ্কের হিসেবে পরাস্ত হলেন, তা নয়। হার বুঝে গণনাকেন্দ্র থেকে বেরতে রীতিমতো পুলিসের সাহায্য নিতে হল তাঁকে। নিজের ‘গড়ে’ এভাবে ভীতসন্ত্রস্ত হতে তাঁকে শেষ কবে দেখা গিয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না এলাকাবাসী। ‘ফণা’ গোটানো অর্জুনকে দেখে এলাকার অনেকেই বলছেন, অর্জুনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্ভবত ফিনিশ হয়ে গেল।
পরপর পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরী বহরমপুরে এবার হেরেছেন ৮৫ হাজার ২২ ভোটে। হারার পর নিজেকে ধর্মীয় মেরুকরণের ‘স্যান্ডউইচ’ হিসেবে দেখছেন তিনি। ভোট বিশ্লেষকদের অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, এরাজ্যের বাকি ৪১টি আসনে যা-ই হোক না কেন, অধীর তাঁর গড় ঠিক রক্ষা করবেন। হল ঠিক উল্টোটাই। নিজের দলের হুইপ অমান্য করে ক্রমাগত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতাই তাঁর কাল হল কি না, সেই প্রশ্নই উঠছে। এবার কী করবেন অধীর? রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন? জবাব দেবে সময়।