অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
কোচবিহারের বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরই কার্যত ধুমকেতু হয়ে যান নিশীথ। পাঁচ বছরে তাঁকে সেভাবে জেলায় দেখাই যায়নি। কখনওসখনও জেলায় এলে লালবাতির গাড়িতে হুটার বাজিয়ে ছুটে বেড়াতেন। সারাক্ষণ থাকতেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে। ফলে সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যা জানাতে তাঁর ধারেকাছেও ঘেষতে পারতেন না। এনিয়ে ভোটের ময়দানে ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কোচবিহারে কোনও উন্নয়নই করতে পারেননি। তারই জেরে এই হার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইদানীং ‘ডোন্ট কেয়ার’ মনোভাব নিয়ে চলেন তিনি। মাথায় একঝাঁক চুল, একগাল দাঁড়ি, চোখে দামি রোদ চশমা। সাধারণ মানুষ নাগাল পান না। যদিও এ ব্যাপারে বিজেপি প্রার্থীকে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও জবাব মেলেনি। মঙ্গলবার দুপুরে ভোটগণনা কেন্দ্র কোচবিহার পলিটেকনিকে আসেন নিশীথ। বেলা বাড়তেই পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে গণনাকেন্দ্র থেকে চুপিসাড়ে চলে যান। বিজেপির উত্তরবঙ্গ ক্লাস্টার ইনচার্জ তথা কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, আমার ক্লাস্টারে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং আসন রয়েছে। কোচবিহার বাদ দিয়ে বাকিগুলিতে জিতেছি। নিশীথের হারের কারণ খতিয়ে দেখবে দল। দার্জিলিং আসনে বিজেপি জয়ী হলেও ভোট কমেছে লক্ষাধিক। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার আসনে গেরুয়া প্রার্থী জয় ধরে রাখলেও কাঁধের উপর নিঃশ্বাস ফেলেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ফলে ব্যবধান কমেছে লাফিয়ে।