অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
ডায়মন্ডহারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী খুঁজতেই এক মাস কাটিয়ে দেয়। তার উপর মুখেন মারিতং জগৎ করেও প্রার্থী হতে পারলেন না আইএসএফের নৌশাদ সিদ্দিকি। সেদিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, অভিষেকের জয় সময়ের অপেক্ষা। তারপর ভোটপর্ব যত এগিয়েছে, ততই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী ক্ষেত্র। ভোট প্রচারে গিয়ে অভিষেক বারবার উল্লেখ করেছিলেন, জয়ের মার্জিন বাড়ানোই লক্ষ্য। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে অভিষেকের জয়ের ব্যবধান ছিল ৩ লক্ষ ২০ হাজার ভোট। এবার তা চার লক্ষ করার টার্গেট নেন। কিন্তু মঙ্গলবার ভোটের ফল প্রকাশের পর অভিষেক নিজেই আগের রেকর্ড ভাঙলেন এবং নয়া রেকর্ড তৈরি করলেন। অভিষেক পেয়েছেন ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩০ ভোট। নিকটতম প্রার্থী বিজেপির অভিজিৎ দাস (ববি) পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট। সিপিএম প্রার্থী প্রতিক উর রহমানের প্রাপ্ত ভোট এক লক্ষও টপকায়নি। তিনি পেয়েছেন ৮৬,৫০৭ ভোট। অভিষেকের জয়ের মার্জিন ৭ লক্ষ ১২ হাজার ১৬২।
এর আগে ২০০৪ সালে আরামবাগ আসন থেকে ৫ লক্ষ ৯২ হাজার পেয়ে জেতা অনিল বসুর প্রসঙ্গ এদিন আলোচনায় উঠে আসে। তিনিই এতদিন ছিলেন রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক ভোটে জেতা প্রার্থী। কিন্তু ২০ বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিলেন অভিষেক। তবে ব্যবধানের রেকর্ডের সঙ্গে এদিন ‘সফল সেনাপতি’ পদেও অভিষেক হল তাঁর। এবারের ভোটে রাজ্যজুড়ে টানা আড়াই মাস প্রচার করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তারপর ছিল ভোটের দিনগুলিতে কন্ট্রোল রুমে বসে নজরদারি। এককথায় মমতার সুযোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠেছেন অভিষেক। আর তাতে সিলমোহর? স্বয়ং বাংলার অগ্নিকন্যার।