অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
কোভিডের সময় থেকেই মানুষের হাতে নগদের জোগান নিশ্চিত করে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতিকে উন্নয়নের পথে নিয়ে গিয়েছেন মমতা। এই একই মডেল অনুসরণ করে মহিলাদের হাতে নগদ জোগান নিশ্চিত করতে এবং তাঁদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১’র বিধানসভা ভোটের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই তফসিলি সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য এক হাজার আর অন্যান্যদের জন্য পাঁচশো টাকা করে চালু হয় এই প্রকল্প। তবে ২০২৪’র লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্য বাজেটে এই আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয় এক হাজার ২০০ এবং এক হাজার টাকা। ফলে ফের সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে এই প্রকল্প। রাজ্যের শাসক দলের কাছেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই হয়ে ওঠে প্রচারের মূল হাতিয়ার। কোচবিহারের এক বিজেপি নেত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি তৃণমূলের কাছে নয়া হাতিয়ার হয়ে ওঠে। কার্যত প্রতিটি জনসভা থেকে এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন মমতা। বিজেপির এই মানসিকতার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে রাজ্যের মহিলারা। দেখা যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অস্ত্রেই কুপোকাত হয়েছে বিজেপি।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের ২৬টিতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ভোটের হার বেশি। এই কেন্দ্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কোচবিহার, বহরমপুর, হুগলি, মেদিনীপুর এবং আরামবাগ। বহরমপুর ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রই ছিল বিজেপির দখলে। বহরমপুরে সাংসদ ছিলেন কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু হওয়ার পর এই প্রথম লোকসভা নির্বাচন হল রাজ্যে। আর উল্লেখিত প্রতিটি আসন বিরোধীদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহারে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ভোটের হার ১.৪৯ শতাংশ বেশি। মেদিনীপুরে ১.৩৯ শতাংশ, আরামবাগে ২.১৩ শতাংশ। আর উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বহরমপুর। যেখানে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ভোটের হার ৮.০১ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নিজের কোষাগার থেকে ৩৫ হাজার ৫৬৫ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। আর বর্তমানে ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন উপভোক্তাকে (যার মধ্যে ২৯ লক্ষ ৫৪ হাজার হল তফসিলি জাতি ও ৫ লক্ষ ১২ হাজার তফসিলি উপজাতি) টাকা পাঠাতে প্রতি মাসে খরচ হয় ২ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা।