শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
জানা গিয়েছে, তর্পণের জন্য বিজেপির তরফে ৮০টি পিতলের অস্থি কলস কেনা হয়েছে। সমসংখ্যক পিতলের বাটি এবং তার মুখ আঁটার জন্য লাল শালুর কাপড়ও কেনা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার থেকে নিহতদের পরিবারের কাছে এই সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে জেলা বিজেপির তরফে। এছাড়াও তর্পণের জন্য শহিদ পরিবারের পুরুষ সদস্যদের জন্য কেনা হয়েছে, ধুতি, গামছা এবং আনুষঙ্গিক উপকরণ। সেগুলিও নিহতদের বাড়িতে পৌঁছে দেবে দল। শহিদদের শেষকৃত্য যেখানে হয়েছিল, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সেখানকার মাটি সংগ্রহ করা হবে। ওই দিনই নিহতের বাড়ির এলাকায় বিজেপির তরফে এই ঘটনা নিয়ে প্রচার করা হবে। পাশাপাশি কলকাতায় হবু সর্বভারতীয় সভাপতি সশরীরে এই তর্পণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন, সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের পরিবারের সদস্যদের শহরে নিয়ে আসা হবে। ওই দিন রাজ্য পার্টি অফিসের বাইরে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে একটি মঞ্চ তৈরির ভাবনা রয়েছে। যেখানে ৮০টি অস্থিকলস সাজানো থাকবে। প্রতিটি কলসের পিছনে নিহত বিজেপি কর্মীর ছবি থাকবে। ২৮ সেপ্টেম্বর ট্যাবলোতে করে এই অস্থিকলস এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বাগবাজার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে। বিকল্প হিসেবে রাজ্য বিজেপি প্রিন্সেপ ঘাটকেও বেছে রেখেছে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য কমিটির আরও এক নেতা বলেন, কেবল তর্পণ করে আমরা নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব না। দলের তরফে হতভাগ্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্গাপুজোর আনন্দও ভাগ করে নেওয়া হবে। পরিবারের সদস্য-সদস্যাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন পোশাক। তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের মূল সুর হল— বিজেপি এ পার্টি উইথ এ ডিফারেন্স। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল হলেও আমরা অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র। তাই দলের জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের আমরা ভুলি না। সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনও বাংলার শহিদ পরিবারের সদস্যরা দিল্লিতে সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষী ছিলেন। একইভাবে আগামী ডিসেম্বরে যিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসতে চলেছেন, সেই নাড্ডাজি খোদ নিজে তর্পণ শ্রদ্ধাজ্ঞলি অনুষ্ঠানে হাজির থাকছেন।