কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
সোমেনবাবু এদিন বলেন, ২০১১ সালে বাংলা বদলের স্বপ্ন নিয়ে আমরা তৃণমূলের হাত ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছিলাম। কিন্তু বদলা নয়, বদল চাই-এর সেই স্লোগান মোটেই কার্যকর হয়নি। এক বছরের মধ্যেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয় এই সরকার সম্পর্কে। আমরাও সরকার ছেড়ে চলে আসি। গত সাড়ে সাত বছরে তৃণমূল জমানায় বাংলার হাল শোচনীয় হয়েছে। রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা কায়েম হয়নি। বরং তার সঙ্গে দুর্নীতিযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা বলবৎ হয়েছে। মিডিয়া থেকে প্রতিবাদী মানুষ— কারও কোনও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই রাজ্যে। মিথ্যা মামলা মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠ বন্ধের প্রধান অস্ত্র আজ এই শাসকের কাছে। বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোকাবিলায় পাল্টা মেরুকরণের রাস্তা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এই যখন রাজ্যের হাল, তখন স্বাভাবিকভাবেই এবারের ভোটে আমাদের এক নম্বর শত্রু নিঃসন্দেহে তৃণমূল। আর বাংলায় বিজেপি’কে কোনও কোনও মহল থেকে হাওয়া দিয়ে ফুলিয়ে তোলার চেষ্টা হলেও, তারা এখনও মোটেই সেই উচ্চতায় পৌঁছতে পারেনি। তবে জাতীয় পরিস্থিতির নিরিখে এখানেও তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ ও বিরোধিতা থাকবেই পুরোদমে।
উল্লেখ্য, সোমেনবাবু এদিন সোজাসাপ্টা এই অবস্থানের কথা জানালেও পবন খেরা কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর সযত্নে এড়িয়ে যান। তিনি এই উত্তর দেওয়ার জন্য সোমেনবাবুর দিকেই মাইক ঠেলে দেন। পবন এদিন দলের ঘোষণাপত্রের বাংলা সংস্করণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন সোমেনবাবুদের সঙ্গে। মোদি এবং তাঁর সরকার কীভাবে নানা প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তার খতিয়ান তুলে ধরে ক্ষমতায় ফিরলে ‘ন্যায় প্রকল্প’ এবং ২২ লক্ষ সরকারি চাকরি সহ আগামী পাঁচ বছরে বিভিন্ন বিষয়ে রাহুল তথা কংগ্রেসের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন তিনি।