কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
রবিবার বিকেলে কলকাতায় আসেন বিবেক দুবে। সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতায় একটি কেন্দ্রীয় সরকারি গেস্ট হাউসে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে। বুঝে নেন রাজ্যের নির্বাচন প্রস্তুতির সব বিষয়। সোমবার তিনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এসে পৃথকভাবে বৈঠক করেন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। প্রথমে তৃণমূলের পক্ষে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী তাপস রায় ও এমপি শুভাশিস চক্রবর্তী। তাপস রায় অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতারা এমন মন্তব্য করছেন, যেন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা খারাপ নয়। এখানে মানুষ উন্নয়ন চায়। তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
আবার বিবেক দুবের সঙ্গে দেখা করতে এসে বিজেপি প্রথমেই জানিয়ে দেয়, রাজ্যের সিইও আরিজ আফতাব উপস্থিত থাকলে তার সামনে তারা কথা বলবে না। তারপর সিইও চলে যাওয়ার পর বিজেপি নেতা মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। তাঁরা বেশ কিছু অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগও করেন। একইরকমভাবে অভিযোগ করেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। তাঁর অভিযোগ ছিল ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও এবং এসপি’র বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ আনেন হলদিয়া ও নন্দকুমার থানার দুই অফিসারের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করুক কমিশন। এই দাবি রেখেছি বিবেক দুবের কাছে। সিইও আরিজ আফতাব কাজ করছেন না, তা নয়। উনি চেষ্টা করছেন।
এই সব অভিযোগে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিবেক দুবে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলি সঙ্গে কথা বলে আমি সন্তুষ্ট। ওদের কাছ থেকে অনেক বার্তা পেয়েছি। আমি তাদের বলেছি, আপনারা তথ্য সহকারে নির্দিষ্ট অভিযোগ দিন, কমিশন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে আসে, তার জন্য পরে গেস্ট হাউসে ফিরে তিনি বিএসএফ, সিআরপিএফের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে তিনি যান নবান্নে। মুখ্যসচিব মলয় দে ও স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রথমে এই বৈঠক মঙ্গলবার করবেন বলে জানালেও এদিনই তিনি নবান্নে চলে যান। সঙ্গে যান সিইও আরিজ আফতাব। এদিকে, তিনি ভোট চলাকালীন নবান্নে যেতে পারেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। ফিরে এসে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ভোটের এলাকার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। পরে বলেন, ওঁরা ভালোই কাজ করছেন। আজ, মঙ্গলবার সকালে নবান্নে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিবেক দুবে মিটিং করবেন ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে। বেলা চারটের পরে তিনি শিলিগুড়ি চলে যাবেন। বুধবার বৈঠক করবেন প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের সাধারণ পর্যবেক্ষক ও পুলিস পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে।