বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
বাংলাদেশের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতির জেরে এবার সেখানে বড় আকারে কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। কিন্তু এপার বাংলার পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছরের মতো যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে। মমতা বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান পালন করব না এটা হতে পারে না। তিনি এও উল্লেখ করেছেন, অন্য দেশের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমরা নিজের দেশের কথা বলব। তাই বলব, বাংলাকে ভালোবাসুন, দেশকে ভালোবাসুন। আমরা শান্তি-সম্প্রতি-ঐক্য চাই। ‘শান্তি’ নামক একটি স্বরচিত কবিতা অনুষ্ঠান মঞ্চে পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বক্তব্য শেষ করেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে।
এদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রয়াত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে। মঞ্চে ছিলেন প্রতুলের স্ত্রী সর্বাণীদেবী। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ল্যান্সডাউন প্লেস প্রতুল মুখোপাধ্যায় নামাঙ্কিত করা হল। প্রতুলের কালজয়ী ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গেয়ে শোনান রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ কর্তা বিবেক কুমার। এছাড়া কবি, সাহিত্যিক, সঙ্গীত শিল্পীরা নিজেদের উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তোলেন। তবে বিশিষ্টদের কথায় উঠে আসে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। সাহিত্যিক আবুল বাশার উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ উদভ্রান্ত। নিজেদের সত্তাকে হারিয়ে ফেলেছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতেও মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়েছে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান। সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েক তরফে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেরয় সকালে। উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী ভাষা সংগ্রামীর কন্যাও। বাংলা বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানের মূল থিম ছিল ‘সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, সম্প্রীতির পক্ষে’। বিভাগীয় প্রধান মণিশঙ্কর
মণ্ডল বলেন, সৌভ্রাতৃত্ব এবং সম্প্রীতির উপরে বুলডোজার চালাচ্ছে উগ্রবাদীরা। তার বিরুদ্ধেই সম্প্রীতির গোলাপ উপহার দেওয়া হল এদিনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। নিউ আলিপুর কলেজেও শহিদবেদীতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী এবং অন্যান্য শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। - নিজস্ব চিত্র