বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যায় ৬টার মধ্যেই খুন হয়েছেন দে বাড়ির বড় বউ সুদেষ্ণা, ছোট বউ রোমি ও তার মেয়ে প্রিয়ংবদা। শুক্রবার ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ও ফরেন্সিক আধিকারিকরা। সোজা সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোলরুমে যান তাঁরা। ‘মঙ্গল-রহস্য’ ব্রেক করতে ওইদিনের ফুটেজ দেখতে যান বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, কোথায় কী! কন্ট্রোলরুমের তথ্য বলছে, শুক্রবার, বৃহস্পতিবার, বুধবার, মঙ্গলবার কোনও ফুটেজ রেকর্ডিংই হয়নি। শেষ ফুটেজ রয়েছে গত সোমবার সন্ধ্যার। তার আগে পর্যন্ত রেকর্ডিং হয়েছে। তদন্তকারী সূত্রের দাবি, সোমবার থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন দুই ভাই। বারবার একে অপরের সঙ্গে গভীর শলা-পরামর্শের ভিডিও ফুটেজ ধরা পড়েছে ক্যামেরা। কি নিয়ে এত আলোচনা? তাহলে কি চলছিলেন খুনের প্ল্যানিং-প্লটিং? স্পষ্ট হতে বিষয়টি নিয়ে জেরা করা হবে প্রণয়-প্রসূনকে। অন্যদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকবার হন্তদন্ত হয়ে দোতলা থেকে তিনতলা ও তিনতলা থেকে দোতলা পর্যন্ত উঠতে নামতে দেখা গিয়েছে প্রসূনকে। তখনও পর্যন্ত দুই বউ জীবিত। রোমির মা চিত্রাদেবী জানিয়েছেন, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ ফোনে কথা হয় মেয়ের সঙ্গে। পুলিসের দাবি, সোমবার সন্ধ্যার পরই বন্ধ হয়ে যায় ১৮টি ক্যামেরাই। এরপরেই প্রিয়ংবদাকে জোর করে ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খাওয়ানো হয় বলে অনুমান। তার আগে চলে শারীরিক নির্যাতন। সেই দৃশ্য সিসি ক্যামেরাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্যই ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। -নিজস্ব চিত্র