বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
অশান্ত পরিস্থিতির কারণে মৈত্রী সমিতিকে বাদ রেখে পেট্রাপোল বন্দর লাগোয়া ভারতীয় ভূখণ্ডে এ বছর পালিত হল ভাষা দিবস। অন্যান্য বছর ভোরবেলা থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোলে অপেক্ষা করতেন দু’দেশের নাগরিকরা। নির্দিষ্ট একটি সময়ে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হতেন জিরো পয়েন্টে। দু’দেশের প্রতিনিধিরা হাত ধরাধরি করে ভাষা শহীদদের বেদীতে মালা দিতেন। বিনিময় হতো উপহার। কিন্তু এবছর এসব কিছুই দেখা গেল না। জিরো পয়েন্টের ২০০ মিটার আগে ব্যারিকেড করে রেখেছিল বিএসএফ। তার ভিতর কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। বেনাপোলের দিকটিতে নজরদারিতে ছিল বিজিবি’র। ব্যারিকেডের আগে তৈরি হয়েছিল অস্থায়ী শহীদ বেদী। সেখানেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও অন্যান্যরা। জিরো পয়েন্ট থেকে ৫০০ মিটার দূরে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু তাতে প্রাণের ছোঁয়া ছিল না।
এদিন বনগাঁ পুরসভার পক্ষ থেকে দিনটি পালন করা হয়। ত্রিকোণ পার্ক থেকে কন্যাশ্রীরা সবুজসাথির সাইকেল নিয়ে র্যালি করে। তবে পদ্মার পাড়ে এবার ভাষা দিবসের তেমন কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। কট্টরপন্থীদের ‘ফতোয়ার ভয়ে’ ছাত্র-ছাত্রী থেকে বিশিষ্ঠজনদের কেউই রাস্তায় নেমে দিনটি পালন করতে সাহস দেখাননি বলে জানিয়েছেন। বেনাপোলে বেশ কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাষা দিবসের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে মঞ্চ বেঁধে কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। শুধুমাত্র ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে নামমাত্র উপায়ে। বেনাপোলের বাসিন্দা মহম্মদ সাহিন আজাদ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ফলে দু’দেশের পক্ষ থেকে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি।’ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ থেকে ভারতে আসেন সরোজ বিশ্বাস তাঁর মেয়ে কাব্যকল্পা। বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী কাব্যকল্পা বলেন, ‘গত বছর এই দিন মিছিল করে কত আনন্দ করেছিলাম। কিন্তু এবছর দিনটি টেরই পেলাম না। আমরা অতীতের ছবিই দেখতে চাই।’ যশোরের বাসিন্দা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশে মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে সে আবেগ নেই।’ বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন, ‘রফিক, জব্বারদের এবং কবিগুরু, নজরুল, বিদ্যাসাগর, চৈতন্য মহাপ্রভুকে এদিন সম্মান জানিয়েছি।’ - নিজস্ব চিত্র