কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
অশোকনগরে সেনডাঙার পাশেই কেওটসাহা গ্রাম। চারিদিকে চাষের জমিতে হয় তিন ফসলি চাষ। এর বাইরে বেরিয়ে অন্যরকম চাষ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন নারায়ণ। প্রায় ১০ বিঘা জমিজুড়ে তাঁর নার্সারি। বছর কয়েক আগে দার্জিলিং, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির কমলালেবুর ১২০টি চারা কিনে চাষ শুরু করেছিলেন। জৈব সার ব্যবহার করেন। প্রথম দিকে সফলতা পাননি। তারপর ইউটিউব দেখে শেখেন। গতবছর প্রথম সফলতা আসে। তবে ফলনের পরিমাণ কম ছিল। কিন্তু এবছর ফলন নজরকাড়া।
সে বাগানের চারদিকে কমলা রঙের ছটা। গাছে গাছে ঝুলছে প্রমাণ আকারের লেবু। তার আকার বেশ বড়। সঙ্গে মনকাড়া সুগন্ধ। নারায়ণবাবু বলেন, ‘প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন দেখতে। কমলালেবু তো সমতলে হয় না তাই তা নিজের চোখে দেখার আকর্ষণ রয়েছে।’ গাছের পরিচর্ষার রহস্য কি? নারায়ণ বলেন, ‘সারাবছরই গাছের যত্ন নিতে হয়। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি বাড়তি যত্ন লাগে। কারণ এ সময় গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত সার দিতে হয়। রাসায়নিক সার দিয়ে চাষ করলে গাছ বাঁচানো মুশকিল। হাবড়ার সুপার মার্কেটে একবার বিক্রি করেছিলাম। অনেকে দেখে অবাক। কিন্তু এখন আর পাইকারি বাজারে বিক্রি করি না। বাগানেই বিক্রি হয়। প্রতি পিস ছ’টাকা। যাঁরা বাগান দেখতে আসেন তাঁদের বিনা পয়সায় লেবু খাওয়াই।’ এলাকার মানুষ নারায়ণকে শ্রদ্ধা করে। পাশে থাকে। তাই রাতে বাগান পাহারার প্রয়োজনও পড়ে না। বাগান দেখতে এসেছিলেন শ্রাবণী গোলদার। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি বারাসতে। পাহাড়ে গিয়ে কমলালেবুর বাগান দেখতে মোটা টাকা খরচ। এখানে অত খরচ হল না। দেখে আশ্চর্য। সেলফি তুললাম।’ পিঙ্কু সাহা নামে অন্য একজন বলেন, ‘সমতলে এরকম কমলালেবুর ফলন দেখে চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। উপরি হিসেবে গাছ থেকে পেড়ে লেবু খেলাম। ভাবা যায়!’ কৃষিদপ্তরের জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এই কাজ যথেষ্ট কষ্টকর। কমলালেবু চাষে আবহাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। উনি বাড়তি লাভ পেয়েছেন জৈব সার ব্যবহার করে।’