কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
গত বুধবার ছিল বড়দিন। সেদিন সকাল থেকে আকাশের মুখ ছিল ভার। তাই অনেকেই সেদিন চিড়িয়াখানার প্ল্যান বদলে শেষ রবিবারকেই টার্গেট করেছিলেন। সকাল ৯টায় চিড়িয়াখানার গেট খোলে। ভিড় জমতে শুরু করে সকাল ৮টার পর থেকেই। আগেভাগে সামনের মাঠে চাদর পেতে জায়গা দখল করাই ছিল পর্যটকদের প্রাথমিক টার্গেট।
বেলা বাড়তেই চিড়িয়াখানায় ঠাঁই নেই অবস্থা। মাঠে জায়গা না পেয়ে লেকের ধারে কংক্রিটের ফুটপাতেই বসে পড়লেন অনেকে। পশুপাখি দর্শনের মাঝে মাঝেই চলল খাওয়া দাওয়া। লাঞ্চ সেরে ফের একপ্রস্থ চলল খাঁচায় উঁকি মারা। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও এশিয়ান সিংহের খাঁচার বাইরে। তার কারণ এই দুই পশু পর্যটকদের উৎসাহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেদার গলা ছেড়েছিল এদিন। এত মানুষ দেখে তারাও বোধহয় উৎসাহিত। শীতের দুপুরে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিটি গর্জনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হইহই করছে কচিকাঁচারা। বেজায় খুশি তারা।
কম যায় না হাতিও। দুই হাতিই ধুলো আর কাঠের গুঁড়ি নিয়ে খেলাধুলোয় ব্যস্ত। সেই খেলার ছবি মুঠোফোন বন্দি করতে দেরি করলেন না কেউ-ই। খাঁচার সীমানার কাছাকাছি চলে আসায় সেলফি তুললেন অনেকেই। চলল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। এছাড়া অন্যতম আকর্ষণ ছিল ওয়াক ইন বার্ড অ্যাভিয়ারি। কিচিরমিচির শব্দে মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে ময়না, বুলবুলি। তা দেখে সেলফি তুলতে মত্ত সবাই। এদিনের দর্শক সমাগমে খুশি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এক আধিকারিকের কথায়, আমরা এরকম পর্যটকের অপেক্ষাতেই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। আশা করি, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি মানুষের উপস্থিতি এদিনের ভিড়কেও ছাপিয়ে যাবে।