কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
ইংরেজিতে যাকে চিজ বা কটেজ চিজ বলে, বাংলায় সেটাই ছানা। দুধ কাটিয়ে যে ছানা হয়, তার গোলাকে গরম চিনির রসে ফেলে তৈরি হয় রসগোল্লা। বাংলার আদি ও নিজস্ব মিঠাইয়ের তালিকায় সবচেয়ে উজ্জ্বল এই মিষ্টান্নই। পরবর্তীকালে সেই রসগোল্লার একাধিক ‘তুতো’ ভাই এসেছে রসনা তৃপ্তিতে। তাদের মধ্যে কমলাভোগ, রাজভোগ বা নতুন গুড়ের রসগোল্লা অন্যতম। রকমফের যা-ই হোক না কেন, রসগোল্লার কোনও বিকল্প নেই, মানেন খাদ্যরসিকরা। এবার সেই মিষ্টান্নই বিশ্বের সেরা মিষ্টির তালিকায় ২৪ নম্বরে উঠে এসেছে।
তালিকার শীর্ষস্থানে আছে লিসবনের ‘পাসটিস ডে বেলেম’ নামে একটি সংস্থার তৈরি ‘প্যাস্টেল ডে বেলেম’। ১৮৩৭ সাল থেকে এই খাবারটি তৈরি করে আসছে তারা। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইস্তানবুলের ঐতিহ্যবাহী হাতিজ মুস্তাফা নামে একটি সংস্থার ‘বাকলাভা’ নামে একটি খাবার। ১৮৬৪ সাল থেকে এই মিষ্টিটি জনপ্রিয়। ভারতের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি হিসেবে বিশ্বের সেরার তালিকায় প্রথমে জায়গা করে নিয়েছে মাওয়া কেক। ১৯৫৫ সাল থেকে ওই কেক প্রস্তুত করে আসছে পুনের কায়ানি বেকারি। বিশ্বের সেরার তালিকার ১৮ নম্বরে স্থান হয়েছে তাদের। তারপরই রয়েছে কে সি দাশের রসগোল্লা। ১৮৬৬ সাল থেকে তার পথ চলা শুরু। ২৫ তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ১৯২৭ সাল থেকে কলকাতার বুকে তৈরি হওয়া ফ্লুরিজের রামবল। মল্লিকদের তৈরি সন্দেশের জায়গা তালিকার ৩৫ নম্বরে।
কে সি দাশের কর্ণধার ধীমান দাশের কথায়, ‘নবীনচন্দ্র দাশ যে মিষ্টি এনেছিলেন, শতক পেরিয়ে তার জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়েছে দেশে- বিদেশে। তাই বিশ্বের সেরা ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির তালিকায় সেই রসগোল্লা ঠাঁই পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এর আগে স্বয়ং কে সি দাশ মহাশয়ের তৈরি রসমালাই যখন অন্যতম সেরার স্বীকৃতি পেয়েছিল, সেটাও আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের ছিল। কারণ, সেটিও ঐতিহ্যবাহী একটি মিষ্টি।’