কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
দুর্নীতি বা অন্যায়ের সঙ্গে কোনওভাবেই আপস নয়, এটাই ঘোষিত সিদ্ধান্ত মমতার। তৃণমূলের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট নেতাকে রেয়াত না করে, আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে রাজধর্ম পালনের নজির সৃষ্টি করেছেন দল সুপ্রিমো। এবার আরও ‘কঠোর’ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগের বছরটায় এবার আরও ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ ভূমিকায় দেখা যাবে মমতাকে। অন্তত তাঁর কর্মকাণ্ডে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। নবান্নে সর্বশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশ মমতা দিয়েছেন বলে খবর এসেছে। সেখানে মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, কোনও বেসরকারি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে মন্ত্রীদের নবান্নে জানিয়ে যেতে হবে।
এমন সিদ্ধান্তের কারণ প্রসঙ্গে নবান্ন সূত্রে খবর, কোনও একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের এক মন্ত্রী গিয়েছিলেন। সেই মন্ত্রীকে যে সংবর্ধনা দিয়েছিল, তার নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ফলে তোলাবাজি বা আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী সংবর্ধনা নিচ্ছেন, এটা সরকার ও দলের কাছে একেবারেই বেমানান। এতে ভাবমূর্তিতে আঘাত হানে এবং বিতর্ক তৈরি হয়। ফলে মন্ত্রীদের কোনও বেসরকারি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সবদিক ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। যে কাজটা এবার থেকে সিএমও’ই করবে। ওই বেসরকারি অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা কারা, মঞ্চে কারা থাকছেন ইত্যাদি বিষয়। রাজ্যের এক বর্ষীয়ান মন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রীরা সরকারি কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। মন্ত্রী পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদমর্যাদার। ফলে কোনও মন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক কোনওভাবে কাঙ্খিত নয়। ফলে কোনও বেসরকারি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সবদিক জেনেবুঝে যাওয়া উচিত মন্ত্রীদের।
অন্যদিকে, ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। ২৬ পূর্ণ হয়ে ২৭ বছরে পা দিচ্ছে তৃণমূল। ওই দিন তৃণমূলের তরফে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রক্তদান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, শীতবস্ত্র প্রদান, হাসপাতালে ফল বিতরণ, পড়ুয়াদের শিক্ষণ সামগ্রী প্রদান, সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের সম্মাননা জ্ঞাপন, ইত্যাদি কর্মকাণ্ড রয়েছে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে। দলীয় সূত্রে খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রীদের মমতার কড়া নির্দেশ, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য কেউ কোনওভাবে কারও কাছ থেকে যেন টাকা না তোলে। কোনও ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা তুলে দলের অনুষ্ঠান যেন না করা হয়। দলের কর্মীদের সক্রিয় সহযোগিতাতেই অনুষ্ঠান হবে। ফলে এটা স্পষ্ট, আগামীদিন দলকে কঠোর অনুশাসনের মধ্যে বাঁধতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ইতিমধ্যে ত্রিস্তরীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে দিয়েছেন তিনি।