উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
১৮৫৪ সালে আঁটপুরের দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন স্বয়ং রামকৃষ্ণদেব। তাঁর শিষ্য বলরাম বসু ছিলেন বাবুরাম ঘোষের ভগ্নীপতি। সেদিন রামকৃষ্ণদেব রাত কাটিয়েছিলেন বলরাম বসুর বাড়িতে। ১৮৮৬ সালের ডিসেম্বরে স্বামী প্রেমানন্দ মহারাজের মা মাতঙ্গিনী দেবীর আহ্বানে এই বাড়িতে পা রাখেন নরেন্দ্রনাথ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ন’জন গুরুভাই। ২৪ ডিসেম্বর শীতের রাতে এখানে বসেই রামকৃষ্ণদেবের আদর্শকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার সংকল্প নিয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন তাঁরা। একাধিক বইয়ে এই একথার উল্লেখ রয়েছে।
আঁটপুর মঠ সূত্রে জানা যায়, প্রেমানন্দ মহারাজের পৈতৃক বাড়ির দুর্গাপুজো বহু প্রাচীন। এক সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই পুজো। ১৮৯৪ সালে মা সারদাদেবী এই পুজো ফের চালু করেন। সেই বছর তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সব কিছু দেখভাল করেন। এই বাড়িতেই ১৮৮৯ ও ১৮৯৪ সালে দু’বার রাত কাটান মা সারদা। এই বাড়িতে এখনও মা সারদাদেবী ও স্বামীজির শয়নকক্ষ সংরক্ষিত রয়েছে।
মঠের প্রধান স্বামী বশিষ্ঠানন্দ বলেন, আঁটপুর ঐতিহাসিক জায়গা হিসেবেই পরিচিত। এই বাড়িতেই স্বামীজি সহ রামকৃষ্ণদেবের ন’জন শিষ্য ধুনি জ্বালিয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়েছিলেন। মা সারদাদেবী যখন এই পুজো ফের চালু করেছিলেন, সেই সময় অবশ্য স্বামীজি এদেশে ছিলেন না। তখন তিনি আমেরিকায়। স্বামীজি ভগ্নী নিবেদিতাকে বলেছিলেন, আঁটপুরে গিয়ে একবার দেখে এসো, মাটি দিয়ে কী অসাধারণ মন্দির তৈরি হয়েছে। ১৯১৮ সালে স্বামী প্রেমানন্দ মহারাজ শরীর ত্যাগ করেন। ১৯৮৬ সালে এই বাড়ি রামকৃষ্ণ মঠের অধীনে আসে। মঠের তত্ত্বাবধানে আজও একইভাবে চলছে দুর্গাপুজো। বেলুড় মঠের মহারাজরা প্রতি বছর পুজো করেন এখানে। পুজোর সময় দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্তরা আসেন। প্রতিদিন প্রসাদ গ্রহণ করেন কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষ।