উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে ভাস্কর গুপ্ত দায়িত্ব নেওয়ার পরে এই কাণ্ডে অভিযুক্তদের শোকজ করেছিলেন। তার সন্তোষজনক উত্তর কর্তৃপক্ষ পায়নি। সেই জন্যই এঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে, ইতিমধ্যেই ছাত্রদের মধ্যে ১৫ জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মেইন হস্টেলে বৈঠক ডেকে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মামলা লড়ার খরচ তোলার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছিল কারও কারও বিরুদ্ধে। কর্তৃপক্ষ সেই উদ্যোগে বাধা দিয়েছে। তবে, তার আগেই বড় অঙ্কের টাকা সংগৃহীত হয়েছে বলে ক্যাম্পাস সূত্রে খবর। এদিন ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বা জুটার সদস্যরা সমস্ত অভিযুক্তকেই অবিলম্বে শাস্তিপ্রদানের দাবিতে উপাচার্যের ঘরে হাজির হয়েছিলেন। তবে, শেষ পর্যন্ত তাঁরা কিছুটা নমনীয় হন। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘আমাদের প্রথম থেকেই দাবি, অভিযুক্ত প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে আমাদের সভাও ডাকা রয়েছে। তবে, কর্তৃপক্ষের দাবি, আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে শাস্তিপ্রদান আপাতত স্থগিত রাখা হোক।’
প্রসঙ্গত, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন পড়ুয়া এখনও প্রেসিডেন্সি জেলে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছেন। তাঁদেরও এর আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে, এদিন যাদবপুরের জার্নালিজম অ্যান্ড মাসকমিউনিকেশন বিভাগের এক অধ্যাপককে ফুল, ওআরএস দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানানোর চেষ্টা করেন ছাত্রদের একাংশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এসএফআই না করলে ইচ্ছাকৃত নম্বর কমিয়ে দেওয়ার। বেশ কিছুদিন পরে তিনি এদিন ক্যাম্পাসে আসেন। এক ছাত্রের বক্তব্য, তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে আসছিলেন না শুনেছি। তাই ওআরএস এবং ফুল দিতে গিয়েছিলাম স্যারকে। যদিও, বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথী চক্রবর্তী ছাত্রদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠান। বঞ্চনার অভিযোগ আনা পড়ুয়াদের উত্তরপত্র আগেই পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।