উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
আর জি করে খুন হওয়া চিকিৎসকের বাড়ি সোদপুরের নাটাগড়। গত ৯ আগস্ট এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছিল। মৃতার সহপাঠী, আত্মীয়, পরিজনের পাশাপাশি শহরবাসী রাস্তায় নেমেছিল প্রথম দিন থেকেই। সন্ধ্যা নামলেই বিচারের দাবিতে দলে দলে মানুষ বি টি রোডে জড়ো হচ্ছিলেন। এমনকী আন্দোলনকারীরা সোদপুর ট্রাফিক মোড়ের নাম পরিবর্তন করে ‘তিলোত্তমা মোড়’ রেখেছিলেন। সেই ব্যানার আজও ঝুলছে। উৎসবে না ফেরার ডাকও দিয়েছিল কেউ কেউ। কিন্তু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এগিয়ে আসতেই ধীরে ধীরে উৎসবে গা ভাসাতে শুরু করছে সাধারণ মানুষ। এমনকী মহালয়ার ভোরে রাত দখলের কর্মসূচি না রাখার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সোদপুর ও পানিহাটি নাম দিয়ে যত গ্রুপ সমাজমাধ্যমে রয়েছে সেখানেও এখন বিভিন্ন শাড়ি,জামা-কাপড় ও সাজসজ্জার বিজ্ঞাপনে ভরে উঠছে। শাস্তির দাবিতে স্লোগান ও পোস্টার কমে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, রবিবার সোদপুর স্টেশন রোডের বাজারে ভিড় কার্যত উপচে পড়েছিল। সেখানে শুধুই কালোমাথার ভিড়। এছাড়া নামকরা বস্ত্র প্রতিষ্ঠান, জুতোর দোকানেও দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিল সাধারণ মানুষ। সোমবার বিকেলে স্টেশন বাজারের বিভিন্ন কাপাড়ের দোকানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিন স্ত্রী-পুত্রকে জামাকাপড় কিনতে আসা সুজিত দে, সৌরভ দত্ত বলেন, আমরাও বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলাম। আজও চাই অপারাধীদের ফাঁসি হোক। আবার কোনও কর্মসূচি হলে রাস্তায় নামব। এটা মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়। ঘরের মেয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার পাইয়ে দেওয়ার লড়াই। কিন্তু দেবী দুর্গার আরাধনা তো আমাদের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা। মায়ের সামনে অঞ্জলি দিয়ে বলব, মা মর্তের এই অসুরদের তুমি বিনাশ করো। এই ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা বন্ধ করতে তুমি সকলের চেতনার বিকাশ করো। মানুষরূপী জানোয়ারদের ভিতরের অসুরকে তুমি বিনাশ করো। মায়ের অঞ্জলি নতুন জামা-কাপড় ছাড়া কীভাবে সম্ভব বলুন। স্টেশন বাজারের দোকানদার শম্ভু বিশ্বাস বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বাজার ফাঁকা। মাছি তাড়ানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে সমস্ত দোকানে ভিড় বাড়ছে। রবিবার ভালো কেনাকাটা করছে। আশা করছি, শেষ কয়েক দিনে মানুষের ভিড় আরও বাড়বে।