কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বর্ষায় জল জমা, পানীয় জলের সমস্যা, উন্নয়ন প্রকল্পের টাকার উপযুক্ত ব্যবহার না করা নিয়ে আগাগোড়া কড়া সুর ছিল মমতার গলায়। সেই সঙ্গে তিনি হাওড়ার বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী করেন প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে। বলেন, ‘নবান্নর পাশেই বেআইনি নির্মাণ। আটকানোর চেষ্টা হলেও রথীন পারমিশন দিয়ে চলে গিয়েছে।’ রথীনবাবু বলেন, ‘আমি স্বচ্ছভাবেই কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম। উনি এসব বলে এখন নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন।’ কয়েকদিন আগে শালিমার স্টেশনের কাছে পার্কিংয়ে তোলাবাজি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। ভর্ৎসনা প্রসঙ্গে দক্ষিণ হাওড়ার বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী বলেন, ‘আমি দুর্নীতি থেকে অনেক দূরে থাকি। পুরসভার কাজে হস্তক্ষেপ করিনি কখনও। তবে অনেক বিষয়ে মাথা ঘামাতাম না বলে আমাকে অন্ধকারে রেখে বহু দুষ্কর্ম হচ্ছে। সেগুলি নিয়ে ভাবতে হবে।’ এক সুর উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর গলায়। তিনি বলেন, ‘দিদি বাস্তব কথা বলেছেন। তবে কাউন্সিলার হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমি পুরসভার কোনও কাজ নিয়ে মাথা ঘামাইনি। কার দোষ কার ঘাড়ে চাপল, বুঝলাম না।’ মধ্য হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘কেউ আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারবে না। বিধায়ক তহবিল থেকে ৬০ লক্ষ টাকা পুরসভাকে দিয়েছি।’ তবে তিনি মনে করেন, বেআইনি পার্কিং এবং বেআইনি নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধ হওয়ার দরকার। জলাজমি ভরাটও বন্ধ করা দরকার। শিবপুরের বিধায়ক মনোজ তেওয়ারি অবশ্য এদিন বৈঠকে ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘দিদি কী বলেছেন, আমি শুনিনি। চিকিৎসার জন্য মুম্বই এসেছি। হাওড়ায় কে কী করছে, সবাই জানে।’ প্রতিবেদককেই তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘দিদি আমার নাম করে কিছু কি বলেছেন?’