কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
দৃশ্য-২, প্রদীপ পাল পুরসভায় এসেছিলেন পানীয় জলের সমস্যার কথা জানাতে। গেটের মুখে বাইক রাখতেই ছেঁকে ধরলেন পুরসভার নিরাপত্তা কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘আপনার আক্কেল নেই। গেটের মুখে গাড়ি নিয়ে চলে এসেছেন। বাইক রেখে আসুন।’ ‘কোথায় রাখব’, অসহায়ভাবে প্রশ্ন করলেন প্রদীপবাবু। নিরাপত্তারক্ষীরা বলেন, ‘সেটা আপনি খুঁজুন।’
দক্ষিণ দমদম পুরসভায় সম্প্রতি পার্কিং সমস্যায় নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর। গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে রোজ বচসা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুরসভার কর্মীরাও চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে পুরসভার কোনও উদ্যোগ নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের অন্যতম ব্যস্ততম জায়গা নাগেরবাজার মোড়ে দমদম রোডের উপর দক্ষিণ দমদম পুরসভার অফিস। তার পাশে পুরসভার হাসপাতাল ও অন্যান্য অফিসও রয়েছে। প্রতিদিন কয়েকশো কর্মী ও সাধারণ মানুষ এইসব অফিসে আসেন। কিন্তু পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। পুরসভা ও হাসপাতালের সামনে সামান্য জায়গা। সেখানে চেয়ারম্যান, সিআইসি ও আধিকারিকদের গাড়ি রাখেন। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা পুরসভা লাগোয়া আশপাশের গলিতে গাড়ি রাখতেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে পোস্টার লাগিয়ে ও মাইকিং করে পার্কিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশের বাস স্ট্যান্ডে পুরসভার তরফে গাড়ি রাখার কথা বলা হলে সেখানেও জায়গা দেওয়া হয় না। ফলে সাধারণ মানুষ ও পুরসভার কর্মীরা ব্যস্ত দমদম রোড, নাগেরবাজার মোড়ে রাস্তার উপর বাইক রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া পুরসভার অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্যান্য গাড়িও রাস্তার উপর রাখা হচ্ছে। ফলে দিনের ব্যস্ত সময়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
কাউন্সিলার অভিজিৎ মিত্র বলেন, বাস স্ট্যান্ডে ৬০টি বাইক রাখার জায়গা রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুরসভার অনেক কর্মী ও অনেক পরিচিত মানুষ রাস্তায় গাড়ি রাখছেন। গলিতে গাড়ি রাখলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তাই গলিতে গাড়ি রাখা বন্ধ করা হয়েছে।’ পুরসভার সিআইসি সঞ্জয় দাস বলেন, ‘পুরসভার হাসপাতাল নতুন বিল্ডিংয়ে সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে। হাসপাতাল সরানোর পর সামনের ফাঁকা অংশে নতুন করে পার্কিং তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন পার্কিং না করলে গাড়ি রাখার সমস্যা মিটবে না। অস্থায়ীভাবে বাস স্ট্যান্ডে বাইক পার্ক করার কথা বলা হয়েছে।’