কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
শনিবার রাতে বনগাঁর ঠাকুরপল্লি এলাকায় এক অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখে ছেলেধরা বলে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। তাঁর পরিচয় জানতে চান বাসিন্দারা। তারমধ্যেই উত্তেজিত একদল লোক ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি মারা হয়। খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিস এসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস। মারধরের অভিযোগে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
রবিবার ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে মারধরের ঘটনা ঘটে গাইঘাটা থানার বেড়ি গোপালপুর এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের নাম আসলাম মণ্ডল। তাঁর বাড়ি বাদুড়িয়া থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ভিক্ষা করেই তাঁর পেট চলে। এদিনও ওই এলাকায় তিনি ভিক্ষা করতেই এসেছিলেন। এলাকায় অপরিচিত মুখ হওয়ায় ছেলেধরা সন্দেহে তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বনগাঁর এসডিপিও অর্ক পাঁজা বলেন, ‘এই ধরনের গুজব কখনওই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। বনগাঁর ঘটনায় ইতিমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাইঘাটার ঘটনায় অভিযুক্তরা শনাক্ত হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, রবিবার দুপুরে পাচারের গুজবে উত্তেজনা ছড়ায় দেগঙ্গায়। ‘সন্দেহজনক’ এক মহিলাকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দেয় তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক শিশুকে বিস্কুট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে চুরির ফাঁদ পেতেছিল মমতাজ পারভিন নামে ওই মহিলা। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা, মুদিপাড়াতে। কিন্তু মারধর না করে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বারাসত পুলিস জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া বলেন, ‘দেগঙ্গায় কোনও অশান্তি হয়নি। একজনকে এলাকার মানুষ আটকে করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে।’