কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বঙ্গে এখনও বর্ষার প্রভাব তেমন নেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি মিলছে। কিন্তু বাজারের উত্তাপ কমছে না। হঠাৎ সব্জির দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যাগ ভর্তি না করেই ফিরতে হচ্ছে মানুষকে। বাজার দরের বড়সড় লাফে কপালের ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে জনতার। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেও পটল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন তা ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ছিল ৩০-৪০ টাকা কেজি। বর্তমানে তার দাম হয়েছে ১০০-১৩০ টাকা। টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, ক্যাপসিকাম ২০০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ২০০ টাকা। শসা ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা প্রতি কেজি। এর জেরে সব্জি কেনার ব্যাপারে হিসেব কষে এগচ্ছেন গৃহকর্তা। রবিবার বহু মানুষ গোটা সপ্তাহের বাজার করে রাখেন। এদিন সকালে বারাসতের বড় বাজারে সব্জি কিনতে এসেছিলেন দীপা মণ্ডল। তিনি বলছেন, আগে ২০০ টাকায় ব্যাগ প্রায় ভর্তি হয়ে যেত। কিন্তু এখন হচ্ছে না। সব্জির যা দাম সেই তুলনায় মাছ বা মাংসের দাম কিছুটা কম। তাই সব্জি একটু এড়িয়ে মাছ বা মাংসের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। বারাসতের সৌমেন রায়ের ছেলের বিয়ে রয়েছে চলতি মাসেই। আগেভাগে তিনি সব্জির পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে অর্ডার দিয়ে এসেছিলেন একরকম দাম ধরে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, দামের বিস্তর ফারাক। ফলে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়তে হয়েছে তাঁদের। তিনি বলেন, আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। পাইকারি বিক্রেতা আগের দরে সব্জি দিতে চাইছেন না। ফলে এক ধাক্কায় অনেকটাই খরচ বেড়ে গিয়েছে। বারাসতের ডাকবাংলো লাগোয়া গুমটি দোকানে সব্জি বিক্রি করেন রমেশ পাল। তাঁর কথায়, সব্জির দাম আগুন। তাই আগের তুলনায় চলতি সপ্তাহে বেচাকেনা কম। আগের সপ্তাহে রবিবার ভালো বিক্রি হয়েছিল, এ সপ্তাহে তা নেই। এত গরম আর মাঝেমধ্যে বৃষ্টির কারণেই সব্জির এত দাম।