কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
গার্ডনরিচের ওই ঘটনার পর পুরসভা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ঘটনার বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যকারণ অনুসন্ধান করতে সেই কমিটি যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকদের দায়িত্ব দেয়। প্রথমে বালি, সিমেন্ট, লোহার রড সহ বাড়ি তৈরির যাবতীয় উপকরণের নমুনা সংগ্রহ করেন যাদবপুরের বিশেষজ্ঞরা। তারপর মাটি পরীক্ষার (সয়েল টেস্ট) দরকার ছিল। তার জন্য ঘটনাস্থলের নির্দিষ্ট কয়েকটি জোনে গর্ত করে মাটির নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। কিন্তু ঘটনাস্থলের বিভিন্ন জোন থেকে রাবিশ তুলতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। যাদবপুরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দেন, সব ধরনের পরীক্ষা না করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে তাঁরা অপারগ। বাধ্য হয়ে চূড়ান্ত রিপোর্টের বদলে একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্ট উচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করে পুরসভার তদন্ত কমিটি। পরে অবশ্য কিছু রাবিশ সরিয়ে মাটির নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হয়। আরও কিছু তদন্ত বাকি রয়েছে যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদের। নির্মাণের অন্তত তিনটি দিকে গর্ত করে ক্যামেরা নামিয়ে বাড়িটির ভিত মাটির কোন স্তরে রয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে চান তাঁরা। কিন্তু, একদিকে ক্যামেরা নামিয়ে পরীক্ষা করা গেলেও ধ্বংসস্তূপ পুরোপরি সাফ না হওয়ায় বাকি কাজ করা যাচ্ছে না। বিল্ডিং বিভাগ কেন রাবিশ সরাতে দেরি করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার অন্দরেই। বিল্ডিং বিভাগের বক্তব্য, ওই জায়গার আশপাশে আরও কয়েকটি বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। সেই রাবিশও ওই জায়গায় জমছে। তাছাড়া, ওই অংশের রাস্তা অনেকটা সঙ্কীর্ণ হওয়ায় বড় গাড়ি ঢোকানো যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে সময় লাগছে বেশি। তদন্ত কমিটির সদস্যদের পাল্টা অভিযোগ, গত আড়াই মাস ধরে এক অজুহাত শুনতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এজেন্সি রাবিশ তোলার কাজ ঠিকমতো করছে কি না, তা তদারকির দায়িত্ব বিল্ডিং বিভাগের কর্তাদের। তাঁরা এজেন্সিকে চাপ না দিয়ে নিজেরাই গড়িমসি করলে তো সমস্যা।