কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঈদ উপলক্ষে কাঁঠালিয়ায় মেলা চলছে। সেই মেলায় ঘোরাঘুরি করার সময় আচমকা কয়েকজন যুবক নাজির হোসেনকে ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছেলেধরা বলে চিৎকার করে তাঁকে কিল, চড়, লাথি মারা শুরু হয়ে যায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাজির। পুলিস এসে কোনওরকমে তাঁকে উদ্ধার করে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই রহড়া থেকে নাজিরের পরিজন ও প্রতিবেশীরা মোহনপুর থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের বক্তব্য, নাজিরের মতো নিরীহ ও নির্বিবাদী একটি ছেলেকে এভাবে মারধর কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তাঁরা। স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা অনুপ দাস বলেন, ‘একেবারে নিরীহ ছেলে। কোনও ঝামেলায় যায় না। কেন এমন ঘটল, পুলিস দেখুক।’ বারাকপুরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার গণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘গুজব থেকে গণপিটুনির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মারধরের একটি ভিডিও আমাদের হাতে এসেছে। তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় অশোকনগরের ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের পুমিলাবাজারে রজনী খাতুন নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণী একই পরিস্থিতির শিকার হন। স্থানীয়রা তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয়। পুলিস জানায়, জখম তরুণীর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার। পুমিলাবাজার এলাকায় তাঁকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় কিছু লোক ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করে। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শুক্রবার রাতেই তিন মহিলা সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। শনিবার আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অর্থাৎ, বারাসত ও অশোকনগরের দু’টি ঘটনায় মোট ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮।