কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে জলপোল বস্তিকে কেন্দ্র করেই গোলমাল। সেখানে দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে। অভিযোগ, বস্তিতে প্রায়ই মদ, গাঁজার আসর বসে। তা নিয়ে মাঝে মাঝেই তাদের মধ্যে ঝামেলা হতো। তাছাড়া বস্তির দখল কার হাতে থাকবে, সে নিয়েও দু’পক্ষের মধ্যে একটা লড়াই রয়েছেই। এদিকে, কিছুদিন আগে এদের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। তাতে এক পক্ষ মার খায়। তারই বদলা নিতে এদিন ওই গোষ্ঠী চড়াও হয় বাপি, প্রতাপ ও শফিকুলদের উপর। প্রত্যক্ষদর্শী পূর্ণিমা দেবনাথ বলেন, পার্টি অফিসের পাশেই আমরা তিনজন মহিলা মা ক্যান্টিন চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি ২০-২৫ জন অচেনা যুবক রড, বাঁশ ও লাঠি নিয়ে কাউন্সিলারের অফিসের সামনে চলে এসেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করে ওদের বলি অফিসের মধ্যে কোনও অশান্তি করা যাবে না। কাউন্সিলার আসুক, কার কী অভিযোগ তিনি সবটা শুনবেন।। যদিও ওই যুবকরা আমাদের কোনও কথাই শুনতে চাননি। তাঁরা কাচের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনজনকে বেধড়ক মারধর করেন। গোটা পার্টি অফিস ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। এলাকায় বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার সময় পার্টি অফিসে ছিলেন না কাউন্সিলার। পরে তিনি এ নিয়ে জানান, সেখানে থাকলে আমিও আক্রান্ত হতে পারতাম। বস্তির কিছু ছেলে এইসব কাণ্ড ঘটিয়েছে। দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার করার অনুরোধ পুলিসকে করা হয়েছে। এদিকে, এদিনের এই ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আবার বিজেপি’র ঘাড়ে দোষ ঠেলেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর থেকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূলই। বিজেপি মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই তারা এই সব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।