অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বরাবরই দাপট ছিল অর্জুনের। সিপিএমের জমানাতেও ভাটপাড়ায় তাঁর নিজস্ব সংগঠনের দৌলতে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনি। ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পাশাপাশি চারবারের বিধায়ক ছিলেন। ২০১৯-এ তিনি বিজেপিতে যোগদান করে সেবার বারাকপুর লোকসভার প্রার্থী হয়েছিলেন। বারাকপুরের মানুষ তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। পরে তিনি ফের তৃণমূলে যোগদান করেন। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের টিকিট না পেয়ে গোঁসা করে তিনি আবার ফিরে যান গেরুয়া শিবিরে। বারবার দলবদলের কারণে ‘পাল্টুরাম’ আখ্যা পান তিনি এবং বারাকপুরবাসীর আস্থা হারিয়ে ফেলেন।
একই সঙ্গে এই লোকসভায় অর্জুনের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করে পার্থ ভৌমিককে। পার্থ ভৌমিকের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বারাকপুরবাসীর কাছে তাঁকে আরও বেশি করে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। তিনি ভোটে প্রার্থী হয়ে বারাকপুরে গুন্ডারাজ খতম করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবে, শান্তিপ্রিয় বারাকপুরবাসী তাঁর এই আশ্বাসে অনেকটা ভরসা করেছিলেন। তাঁর ওপর এবার আস্থা রাখলেন। আর তাই, এবার লোকসভায় শেষ হাসি হাসলেন পার্থ। গণনার শুরুতেই তিনি এগিয়ে যান। ৩ রাউন্ডের শেষে হাসিমুখে বললেন, গুন্ডারাজ এর জবাব দিল মানুষ।
পার্থ পেয়েছেন ৫ লক্ষ ২০ হাজার ২৩১ ভোট এবং অর্জুন পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৯৩ ভোট। সিপিএম প্রার্থী দেবদূত ঘোষ পেয়েছেন ১ লক্ষ ৯ হাজার ৫৬৪ ভোট। ৬৪,৪৩৮ ভোটে জিতলেন পার্থ। তিনি সাতটি বিধানসভার মধ্যে একমাত্র ভাটপাড়া বাদে সব ক’টি বিধানসভাতেই জিতেছেন। তবে সব থেকে বেশি লিড হয়েছে আমডাঙা বিধানসভায়। হেরে গিয়ে অর্জুন সিং বললেন, ‘এটা ঠিক, অর্জুন মিথ ভেঙে গেল। এই নিয়ে দু’বার হারলাম। আবার গড় তৈরি করে নেব।’
এদিন জয় নিশ্চিত হওয়ার পর পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘এরপর মমতাদির সঙ্গে কথা বলে বারাকপুরের উন্নয়নের পরিকল্পনা নেব। বন্ধু অর্জুনকে বলব, সঠিক পথে চলতে। অর্জুনের বাড়ি মজদুর ভবনে পুলিস হানা দিলে অনেক ক্রিমিনাল খুঁজে পাবে। বারাকপুরে গুন্ডারাজ বন্ধ করবই।’